জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই সাবেক ছাত্রকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।মঙ্গলবার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আটক দুইজন হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (৪১ তম ব্যাচ) সাদ শরীফ এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (৪২ তম ব্যাচ) নূরুল আমিন। দুইজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে করা মশাল মিছিল চলাকালে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, মশাল মিছিলে শিবির ও ছাত্রদল অংশ নেবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সারাদিন ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ করতে থাকি। মিছিল চৌরঙ্গী আসলে তাদের দু’জনকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলসহ আটক করি।

আটকের পর তাদের মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে শিবির সংশ্লিষ্ট একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। চলমান আন্দোলনে কারা টাকা দেয় তার প্রমাণ মোবাইলে পাওয়া গেছে। গতমাসে তাদের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কোন কোন শিক্ষক টাকা দেয় সে তথ্যও তাদের কাছে পাওয়া গেছে। বিদেশ থেকে তাদের সাথে কারা কারা যোগাযোগ করে তারও প্রমাণ মিলেছে।

তাদের আটকের বিষয়ে প্রক্টর আরো বলেন, ‘তারা যে শিবির করে তার পক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে থেকে পাওয়া গেছে। সাদ শরীফ শিবির করার কথা স্বীকার করেছে। অপরজন তার সহযোগী। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আশুলিয়া থানায় মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলমান।’

তিনি বলেন, ‘ভোলার ঘটনায় কীভাবে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করা যায় তারও কথোপকথন তাদের কাছে আছে। এ ছাড়া তাদের কাছে সেক্টর কমান্ডারসহ কোন কোন সাথী তাদের সাথে যোগাযোগ করে তারও একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তারা সাভারের একটি কোচিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।’

তাদের আটকের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ‘তারা হেলমেট পরে মিছিলের পেছনে আসছিল। তারা চৌরঙ্গী পৌঁছালে ডিবি আমাদের তথ্য দেয় এবং তাদেরকে আটক করতে বলা হয়। তাদের আটক করে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।’