২০১২ সালে বিসিবিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যে কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনকে। মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং পাপনের বন্ধু হিসেবে অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা পান লোকমান। নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ২০১৩ ও ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হন তিনি।

মোহামেডান ক্লাব ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দেওয়া এবং বাড়িতে বিদেশি মদ রাখায় লোকমানকে মনিপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব জানায়, ক্যাসিনোর জন্য মোহামেডান ক্লাব ভাড়া দিয়ে যুবলীগ নেতা ও ঢাকা দক্ষিণের কমিশনার মমিনুল হক সাঈদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। লোকমান অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলেও জানায় র‌্যাব। এ ছাড়া দেশে তার বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লোকমান এখনও বিসিবির পরিচালক এবং মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ।

ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ১৯৯৩ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৬ সালে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে খালেদা জিয়ার বডিগার্ড ছিলেন লোকমান। বিএনপি প্রধানের খুবই আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। একই সময় মোসাদ্দেক হোসেন ফালুও ছিলেন খালেদা জিয়ার কাছাকাছি। ফালুর হাত ধরেই মোহামেডান ক্লাবে আসেন লোকমান। এ ক্লাব নিয়েই ফালুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। ক্ষমতার জোরে দ্রুত মোহামেডান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হন। একটা সময় মোহামেডান থেকে ফালুকে সরে যেতেও বাধ্য করেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করায় ২০০৮ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয় তাকে। উৎস -সমকাল