জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 480 বার
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতকে শুধু দিয়েই যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তাসহ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা জনগণ প্রত্যাশা করে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। আমরা সবসময় যেমন আশা করে থাকি, ভারতের সাথে বাংলাদেশের এই সরকারের নাকি পর্বতের শৃঙ্গের মতো সম্পর্ক। কিন্তু বারবার আমরা হতাশ হই। যতবার যান, এসে দেখি আমাদের যে মূল সমস্যাগুলো রয়েছে- সেগুলো সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু আমরা দিয়ে আসি একেবারে উজাড় করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে হত্যার সমস্যার সমাধান হয় না, আমাদের তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিলে বন্যা হয়ে যায়- এই সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা হয়েছে-সেটার সমাধান হয় না।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে সুখবর পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে জনগণ আশা করবে, জনগণের যে প্রত্যাশা- তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে। অবশ্যই যেন বাংলাদেশ সুখবর পায়, তা আমরা আশা করব। আমরা আশা করব, আমাদের সীমান্তে যাতে হত্যা বন্ধ হয়।’
আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘ভারতের মন্ত্রী ও নেতারা যখন বলেন, আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে। তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। উদ্বিগ্ন হই, কারণ- আমাদের কোনো মানুষ ভারতে গেছে বলে আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, এটা একটা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা। যা দিয়ে বাংলাদেশের ওপর বড় ধরনের একটা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।’
আজকে ক্যাসিনো নিয়ে লাফালাফি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্যাসিনো করে লুট করেছে। কিন্তু এর চেয়েও বড় সম্পদ আমার লুট হয়ে গেছে। আমার ভোট, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার লুট হয়ে গেছে। আর এটা আওয়ামী লীগ লুট করেছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া কারও অনুকম্পায় মুক্ত হবেন না। অবশ্যই তার যে হক ও ন্যায্য অধিকার- সেই হক ও অধিকারে তিনি মুক্ত হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আর যাই করা হোক, বেগম জিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। কারণ জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বের করে নিয়ে আসবে।’
ক্ষমতাসীনরা কৌশল পাল্টিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
Leave a Reply