জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 366 বার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন দলের ৪ জন সংসদ সদস্য।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা ফুলের তোরা নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের খালেদা জিয়ার চিকিৎসাধীন ইউনিটে প্রবেশ করেন।
৪ সংসদ সদস্য হলেন ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ, বগুড়া ৬ আসনের এমপি জিএম সিরাজ, বগুড়া ৮ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে দলটির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, “ম্যাডাম বলেছেন জামিন আমার হক। দেশের আইন অনুযায়ী আমি জামিন লাভের যোগ্য।”
দলীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে রুমিন জানান, প্যারোলে মুক্তিতে আবেদনের ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোনা কথা হয়নি।
অন্যদিকে, জামিন পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে আগ্রহী, গতকাল এমন কথা জানানোর পর আজ বুধবার সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন দলটির আরেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে তার বিদেশে যাওয়ার আগ্রহের কথা সাংবাদিকদের বলেছিলেন তিনি।
বিএসএমএমইউ থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ আজ বলেন, আমি সংসদ নেতার কাছে আহবান জানাবো আপনি একবার এসে দেখে যান, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী কী অবস্থায় আছেন। আমি নিশ্চিত যে আপনার ভেতরে মানবতাবোধ জাগ্রত হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিকভাবে না দেখে আপনি জামিনের ব্যবস্থা করুন।
সিরাজ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারো সাহায্য ছাড়া খেতে পারছেন না, হাঁটতে পারছেন না। এখানে তার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আবার বলছি সংসদের নেতা হিসেবে আপনার কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ আপনি ম্যাডামের জামিনের ব্যবস্থা করুন।
মুক্তির বিষয়ে খালেদা জিয়া কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডাম অবশ্যই মুক্তি চান। তিনি অপরাধ করেননি। তবুও বন্দি আছেন। চিকিৎসার ব্যাপারে তার বক্তব্য তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশে চিকিৎসার কথা আসছে কেন। তিনি মুক্তির পরে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন।
Leave a Reply