ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের অর্থপাচার ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত্ এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক সচিব বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির যে কোনো তথ্যই কমিশন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। নাজমুল আলমকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন চোখে পড়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দৈনিক ইত্তেফাকসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে লন্ডনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলের চার কোম্পানির ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

দুদক সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সব প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে কমিশনের একটি টিম। এসব প্রতিবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সিদ্দিকী নাজমুল আলম দেশে-বিদেশে কী পরিমাণ সম্পদের মালিক, তার সম্পদের উত্সই বা কী, সেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে কমিশন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশের টাকায় লন্ডনে চারটি কোম্পানি খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এসব প্রতিষ্ঠানে শতকোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িতসহ ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের অনেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। নাজমুলের নামে ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট, পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইটি কোম্পানির পরিচালক পদে তার নাম নেই। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে একটির একক পরিচালক এবং আরো তিনটি কোম্পানির যৌথ পরিচালক হিসেবে তিনি রয়েছেন।

২০১১ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ছাত্ররাজনীতিতে সততার কথা বলা এবং নিজেকে একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান দাবি করে আসছিলেন নাজমুল। জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমুলের বাবার নাম খায়রুল ইসলাম শাহজাহান। খাদ্য অধিদপ্তরের পিয়ন থেকে নাজমুলের বাবা এখন খাদ্য ইন্সপেক্টর।