ভারত পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় দেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আজ সোমবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

তবে খুচরা বাজারে দেশি আর ভারতীয় পেঁয়াজের দামের কোনো ভেদাভেদ নেই। সব পেঁয়াজই এখন কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজি কিনতে হচ্ছে ১১০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ও অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো দেখতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক পাল্লা ৪৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে দাম আরও কিছুটা বেশি।

রাজধানী ঢাকার বাইরেও পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন খুচরা বাজারে আজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বিকালেও এসব বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৫ টাকা দরে।

এছাড়া খুলনায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুলনার বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রেতারা দোকানে পেঁয়াজের দাম ১ কেজি সমান ১২০ টাকা চার্ট আকারে দিয়ে রেখেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতকাল রোববার পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ভারত। রফতানি বন্ধের ওই সিদ্ধান্ত রাতারাতি কার্যকর করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব দেশে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকবে। তাই এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়।

এক দিন পর বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বাড়ে প্রায় ১৫ টাকা। এরপর আরও কয়েক দফা দাম বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।