প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, সরকার ও ব্যবসায়ীদের আগাম জলবায়ু অভিযোজন সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ ঢাকা থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনের একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশ অনেক পদক্ষেপ নিলেও অনেক কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে। যে কারণে আমি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের নতুন কার্যালয় খুলতে দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এই নতুন অফিস বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন প্রচেষ্টা এবং ধারণার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এবং সমন্বয় সাধন করতে সহায়তা করবে। আমরা এখন পর্যন্ত যতটা সফলভাবে এই পথ অতিক্রম করেছি তা থেকে শিক্ষা লাভ করতে এটি সারা বিশ্বের জন্য ওয়েব পোর্টাল হিসেবে কাজ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি, কোন জাতিই এটি একা করতে পারে না। এক্ষেত্রে আমাদের সমগ্র বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’

কমিশনের নেতৃত্ব প্রদান করছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন। বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার প্রযুক্তিবিদ বিল গেটস এবং বিশ্ব ব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাও কমিশনে রয়েছেন।

এ বছর জুলাই মাসে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’র প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ তথা রাজনিতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বান কি-মুন এবং ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এই বৈঠকে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করেন।

সফরকালীন তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন, কি করে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে। তাদের সেই সফরের ফলেই গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকায় ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন’ এর নতুন অফিস খোলা হচ্ছে।