নরসিংদীর মনোহরদীতে দুলাল মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়েছে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রী। ধর্ষণের শিকার হয়ে সে এখন পাঁচ মাসের অন্তুঃসত্ত্বা। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষক উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের বীর মাইজদীয়া গ্রামের মৃত আ. জব্বারের পুত্র। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষিতার বাবা মনোহরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সোমবার রাতে পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, দুই সন্তানের জনক দুলাল মিয়ার স্ত্রী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন। ছেলে প্রবাসী এবং মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। দিনের বেলায় ফাঁকা বাড়িতে দুলাল মিয়া একাই থাকেন। গত এপ্রিলের ২৭ তারিখ দুপুরে প্রতিবেশী কিশোরী তার বাড়ির উঠান দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় দুলাল মিয়া তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে পানি আনতে বলে। পানি নিয়ে ঘরে আসার পর দুলাল মিয়া দরজা আটকিয়ে ভয় দেখিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে কিশোরীকে হত্যার ভয় দেখায় দুলাল। গত একমাস আগে কিশোরীর শারিরীক পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষক দুলাল মিয়া ও তার পরিবার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।

মামলার বাদি ও ছাত্রীর বাবা জানান, মেয়েটি বৃদ্ধ দুলাল মিয়ার বাড়ির উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় নির্জন ঘরে নিয়ে ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে কু-কর্ম করে। তার এমন কাজে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তার শারীরিক পরিবর্তন আমাদের নজরে আসলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে থানায় গিয়ে মামলা করেছি।

মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ দায়েরের পর দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।’
কালের কন্ঠ

মন্তব্য