জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ৬, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 402 বার
নোয়াখালী সদর থানার কর্মরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে তিন পুলিশকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাঈদ মোশাররফ পারভেজের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে মাইজদী বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাঈদ মোশাররফ পারভেজসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সের তিন পুলিশ সদস্য রিয়েল, সামাদ ও আশিস মাইজদী বাজার জিসান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে যান। একটি কেবিনে বসে তারা খাবার খেতে শুরু করলে হোটেল বয় জানায়, নারী কাস্টমার এসেছে। এখান থেকে তাদের উঠে যেতে হবে। তারা সেখান থেকে উঠে অন্য টেবিলে যাওয়ার সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাঈদ মোশাররফ পারভেজের চাচাতো ভাই বাবুর পা লাগে। এ সময় পুলিশ সদস্য রিয়েল সরি বলে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাবু ও তার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের মারপিট করে। খবর পেয়ে নোয়াখালী পুলিশ লাইন্স ও সুধারাম মডেল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক অন্যরা হলো- চন্দ্রপুর গ্রামের রাসেল, রুবেল, শামছুল হক সুজন; শরীফপুর গ্রামের ফরহাদ; জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের করিম ও রিপন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী সদর থানা থেকে সাংবাদিকদের প্রথমে তথ্য দিতে বিলম্ব করে।
পরে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে আটক পৌর কাউন্সিলর সাঈদ মোশাররফ পারভেজ বলেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তিনি দেখতে পান পুলিশ তার স্বজন বাবুকে মারধর করছে। এ সময় তার লোকজন পুলিশকেও পাল্টা মারধর করে।
Leave a Reply