জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জুলাই ৩০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 648 বার
সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে । গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৯৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুধু জুলাই মাসেই ১১ হাজার ৪৫০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা এক মাসের হিসেবে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এবার বর্ষার শুরুতেই ঢাকায় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে, এখন বিভিন্ন জেলা থেকে আক্রান্তের খবর আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল জানিয়েছে, ৫০টি জেলায় ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকালও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সাভারের ব্যবসায়ী জুয়েল মাহমুদ নয়ন (৩৮) এবং বগুড়ার আদমদীঘির ট্রাক চালক সাজেদুল সাজু (৩২) মৃত্যুবরণ করেছেন। যদিও স্বাস্থ্য অধিপ্তরের হিসেবে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ জন। বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের অনেকে ঢাকা থেকে রোগ নিয়ে গেছেন। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিন হাজার ৮৪৭ জন। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে নয় হাজার ৭৮২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই ভর্তি হয়েছে ৮৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী। সবচেয়ে বেশি ১২৫ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে আরও ২৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে এমন আশংকার কথা জানিয়ে তিন মাস আগেই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া রাজধানীর মশা যে ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে সে বিষয়ে প্রায় এক বছর আগেই সিটি করপোরেশনকে সতর্ক করেছিল আইসিডিডিআরবি। পাশপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সেই পরামর্শও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় গুরুত্বারোপ দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চলতি মাসের পরিচালিত জরিপে ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৮, দক্ষিণে ৭৮ ভাগ এলাকায় বেশি লার্ভার উপস্থিতি দেখা গেছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধুম্রজাল কাটছে না। রাজধানীর সরকারি বেসরকারি কোন হাসপাতালে রোগীদের তিল ধরনের অবস্থা না থাকলেও অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমে তথ্য আসছে ১২টি সরকারিসহ মাত্র ৩৫টি হাসপাতাল থেকে। অথচ ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিবন্ধিত ও অপেক্ষমান বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যই প্রায় ৩’শ। সেই হিসেবে মাত্র ৭ ভাগ ডেঙ্গু রোগী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর ৯৩ ভাগ তথ্যই থেকে যাচ্ছে অজানা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত মার্চ মাসে রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার ওপর একটি জরিপ চালান হয়। তখনই আমরা এমন পরিস্থিতির বিষয়টি ধারণা করি এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই আমরা চিকিৎসকদের বিষয়টি অবহিত করি এবং ডেঙ্গু গাইডলাইন আপডেট করি। ইতিমধ্যে ১০ হাজার গাইডলাইন চিকিৎসকদের হাতে পোঠানো হয়েছে।
ঢাকায় এডিস মশার লার্ভ আগের চেয়ে আরো বৃহৎ পরিসরে বেড়ে ওঠার প্রমান পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জুলাই মাসে ১০ দিন ধরে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। দুই সিটির ১০০টি এলাকায় পরিচালিত এই জরিপে সবগুলো ১০০টি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা পর্যবেক্ষণে চলতি মাসেই ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৯টি এলাকায় এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১টি এলাকায় জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে দেখাগেছে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, গেন্ডারিয়া, বনশ্রীর মতো এলাকাগুলোতে বাড়িঘর-অভিজাত স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। তবে দুই সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি পাওয়া গেছে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ১৮ জুলাই থকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালিত হয়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকা উত্তরের ৫৮ শতাংশ এবং ঢাকা দক্ষিণের ৭৮ শতাংশ এলাকায় বেশি মাত্রায় লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আবার নির্মাণাধীন ভবনের অস্থায়ী চৌবাচ্চা, মেঝেতে জমিয়ে রাখা পানি এবং এলাকার দোকান অধ্যুষিত এলাকায় ডাবের খোসা ও গ্যারেজের টায়ারের শতভাগেই লার্ভা মিলেছে। অন্যদিকে বড় মশার ক্ষেত্রে গত মার্চ মাসের চেয়ে এ দফার সার্ভেতে ১০ গুণ বেশি এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ শাখার ডিপিএম (ডেঙ্গু) ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা শুধু অভিজাত এলাকায় এডিস মশার কথা এত দিন ধরে বললেও এর সঙ্গে বর্জ্যের মধ্যে লার্ভার অস্তিত্ব পেয়েছি। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরিষ্কার বর্জ্যস্তুপে থাকা ডাবের খোসা, টায়ার, বিভিন্ন ধরনের পাত্রের (যার ভেতর পানি জমে থাকে) ভেতর এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, জরিপ বিশ্লেষণ করে ফলালফ পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তখন আরও বিস্তারিত ভাবে বলা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, গত বছর যখন সারাদেশে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখাদিয়েছিল তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম এ বছরের বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদফতর গত মার্চে জরিপ করে দুই সিটি করপোরেশনকে সতর্ক করে। দুই সিটির উচিৎ ছিল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সতর্কতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। বর্ষার শুরুতেই যদি তারা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতো তাহলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
স্বাস্থ্য অধিদফতর গত মার্চে ডেঙ্গু প্রকোপের ব্যাপারে সতর্ক করার পরও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধনের ব্যাপারে দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর সতর্ক করার আগ থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মশক নিধন কাজের ব্যাপারে সতর্ক ছিল এবং রুটিন কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে। এসব কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারিত বা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, এখনকার মৌসুমটা এডিস মশার প্রজনন মৌসুম এ কারণে কিছুটা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তবে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা বেশ ভাল আছি, এটা বলা যায়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে চেষ্টা করছি; আশাকরি দ্রæততম সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু বা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো।
ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি: স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার এন্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুয়াযী, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জলোয় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা জেলায় ১৩৬, এরমধ্যে গাজীপুরে ৯১ জন, গোপালগঞ্জে ৫, মাদারীপুরে ১৪, মানিকগঞ্জে ১৬, নরংসিংদীতে ২, রাজবাড়ীতে ৯, শরিয়তপুরে ৭, টাঙ্গাইলে ৮, মুন্সিগঞ্জে ৮, কিশোরগঞ্জে ৫৬ এবং নারায়নগঞ্জে ১৮ জন। চট্টগ্রামে ১৪৮ জন, ফেনীতে ৫৯ জন, কুমিল্লায় ৪৮ জন, চাঁদপুরে ৭৫ জন, ব্রা²নবাড়িয়ায় ১৪ জন, ল²িপুরে ১২ জন এবং নেয়াখালীতে ২৩ জন, কক্সবাজারে ৭ জন। খাগড়াছড়িতে ৪, রাঙ্গামাটিতে ১ জন। খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৬ জন, কুষ্টিয়ায় ৩৩ জন, যশোরে ৪৪ জন, জিনাইদহে ১৪ জন, বাগেরহাট ৪, সাতক্ষীরা ৮, চুয়াডাঙ্গা ৪, রাজশহীতে ৫৩, বগুড়ায় ৬০ জন, পাবনায় ৩৮ জন, সিরাজগঞ্জে ৮জন, নওগায় ২জন, চাপাইনবাগঞ্জ ৯, নাটোর ১ জন। রংপুর ৪৫, লালমনিরহাট ১, কুড়িগ্রাম ৩, গাইবান্ধা ৩, নীলফামারী ২, দিনাজপুর ১, পঞ্চগড় ১ এবং ঠাকুরগাও ৪। বরিশালে ৪২ জন, পটুয়াখালী ৬, ভোলা ৬, পিরোজপুর ২, ঝালকাঠি ১ এবং সিলেটে ৩০ জন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে গতকাল (সোমবার) একদিনেই ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, জেনারেল হাসপাতালে একজনসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জন রোগী শনাক্ত করা হয়। সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুধু চমেক হাসপাতালে ৮৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক বেশি। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু (এনএস-১) কীট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। রোগীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই এ পরীক্ষা করার সুবিধা পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সব রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এদিকে, সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে চসিক জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা সেবা চালু করেছে।
রাজশাহী : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে ৩৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যশোর : যশোরেও গত ২১ দিনে জেলায় ৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন ২৬ জন।
বরিশাল : বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসনে বলেন, বরিশালে এডিস মশা নেই। যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তারা সকলেই কোন না কোন কারনে সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফিরেছেন। তবে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মুলাদীর ডেঙ্গু রোগী মো. কাহ আলম-এর স্ত্রী জানান, তার স্বামী সম্প্রতি ঢাকায় যাননি।
খুলনা : খুলনায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। একইসাথে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থার মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য তিন সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
সিলেট : সিলেটের জেলা সিভিল সার্জন অফিস স‚ত্রে জানা যায়, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ নগরীর সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৮ জন রোগী।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে ৯৮ জনকে ডেঙ্গু রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত এক মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোসা. নূরুন নাহার বলেন, সরকারিভাবে এখনো ডেঙ্গু শনাক্তের কোনো কিট বা ডিভাইস হাসপাতালে নেই। বেসরকারিভাবেই ডেঙ্গু শনাক্ত করা হচ্ছে। হাসপাতালে বর্তমানে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নরসিংদী : গত এক সপ্তাহে নরসিংদী সদর হাসপাতালে কমপক্ষে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ৪ জন। এছাড়াও নরসিংদীর কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে বেশকিছু ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সাভার : ঢাকার সাভারে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে সোমবার দুপুরে জুয়েল মাহমুদ নয়ন (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। নয়ন ঢাকার ধামরাই থানার কুল্লা ইউনিয়ন এলাকার জলিল উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে একই হাসপাতালে মূমূর্ষ অবস্থায় আইসিইউতে হাজেরা নামের ১০ বছরের এক শিশু ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সাভারের গত এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক মানুষ ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
টঙ্গী : টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ১০জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে
কিশোরগঞ্জ : গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে জেলার ১৩টি উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত নয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে নয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি আছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত পাঁচজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভোলা : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ভোলা সদর হাসপাতালে মোট ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। আদমদীঘি (বগুড়া) : ঢাকায় ডেঙ্গুজ্বরে বগুড়ার সান্তাহারের সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩২) নামে এক ট্রাক চালক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। সে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকার উপর পোঁওতা গ্রামের রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভার আনছার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহসদর হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভতি হয়েছেন। এই নিয়ে ঝিনাইদহে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখা দাড়ালো ১৬।
মাদারীপুর : মাদারীপুর জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে নেই ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন রোগী।
\
Leave a Reply