বিনোদন | তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 420 বার
একের পর এক আলোচনা সমালচনার জন্ম দিচ্ছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান । সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদ মুসলিম ঘরের মেয়ে হয়েও হিন্দু রীতিতে অমুসলিমকে বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয়, হিন্দু নারীদের মতো সিঁদুর পরে চলাফেরাও করছেন রীতিমত। যা নিয়ে কঠর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। এবার স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে খাজা হজরত নিজামুদ্দিনের দরগা শরীফে গেলেন টালিউড সুন্দরী।
আর সেই দরগা থেকে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নিখিল। সেখানে তিনি লিখেছেন- ‘ভগবান সর্বত্র। তুমি কোথায় তাকে খুঁজে পাবে তা নির্ভর করছে তোমার উপর। আমি তোমার মধ্যেই আমার ভগবানকে খুঁজে পেয়েছি।’
একের পর এক বির্তকিত কর্ম-কাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। তাও আবার ধর্মীয় আবেগ নিয়ে।
কিছু দিন আগে সিঁদুর লাগিয়ে, মঙ্গলসূত্র পরে ভারতের পার্লামেন্টে গিয়ে সে সমালোচনায় ঘি ঢালেন।
তাতেও থামেননি তিনি। দলীয় সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ইস্কনের রথের রশি টানার হ্দিু ধর্মীয় রীতি পালন করেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত।
নুসরাতের এমন সব ঘটনায় ভারতের ‘দারুল উলুম’-এর ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমি পর দেশটির প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি মোহাম্মদ গোলাম রিজভি বলেন, ‘আর কোনোভাবেই মুসলমানের খাতায় নাম রইল না নুসরাত জাহানের।
তবে এসব সমালোচনা ও বক্তব্য কানেই তুলছেন না টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত। একের পর সমালোচনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন।
নুসরাতের এমন সব কর্ম-কাণ্ডের সমালোচনা করে ফতোয়া জারি করেছিলেন দেববন্দের ইমাম। ইসলাম ধর্মে অগ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া জারি করে প্রসিদ্ধ আলেমগণ বলেন, নুসরাত আর মুসলমান রইল না।
এর জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান আপ কি আদালতে নুসরাত বলেন, ‘আমি এক জন মুসলিমই থাকব এবং আমি কী পরব তা নিয়ে কারও কথা বলার অধিকার নেই। বিশ্বাস সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আমার ধর্ম এবং বিশ্বাস (ঈমান) কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম হলো বিশ্বাসের ব্যাপার আর আমার বিশ্বাস পাক্কা। সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরে আমি আমার বিশ্বাস হারাইনি।’
Leave a Reply