নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গনিপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দেলোয়ার হোসেন দেলু কে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছেন নিহত দেলোয়ার এর পরিবার। গত ৫ই মে জেলা আইন জিবি সমিতির হল রুমে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সন্মেলনে নিহত দেলোয়ার এর হত্যাকারীদের গ্রেফতার এর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সন্মেলনে নিহত দেলোয়ার এর বড় ছেলে মোঃ মোশারফ হোসেন খালেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৯ শে এপ্রিল তার পিতা দেলোয়ার হোসেন দেলু নিজ বাড়িতে তাদের নিহস্ব জমিতে ঘর নির্মান করিতে গেলে তার জেঠী সখিনা বেগম রত্না বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এর জের ধরে আমার জেঠাতো ভাই শাওন, পিয়ান,এমরান সহ তাদের পরিবারের সদস্যারা আমার বাবাকে লোহার হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এসময় আমার মা খোদেজা বেগম বাবাকে রক্ষা করতে এলে আমার মাকেও মারধোর করে। এসময় আমার মায়ের চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ছুটে এসে আমার মা এবং বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।গুরুতর ভাবে আহত আমার বাবাকে প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার বাবাকে মাইজদী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মাইজদী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবার বাবার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন আমার বাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।২০ শে এপ্রিল জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বাবা মারা জান। এ হত্যার ঘটনায় নিহত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী খোদেজা বেগম বাদী হয়ে মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী সখিনা বেগম রত্না (৫৮),পুত্র শাওন( ৩৪),পিয়ান (৩২),মোবারক (২১),এমরান (২৯),মেয়ে নু্পুর (৩১) সহ ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী সখিনা বেগম রত্নাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান নিহতের পরিবার। দেলোয়ার এর মৃত্যুর খবর বাড়ীতে পৌছিলে আসামীগন অনেক দিনের আশা পূরন হয়েছে বলে প্রধান আসামী সখিনা বেগম রত্নাকে ঘরে রেখে বাকী ১২ জন পালিয়ে যায়। এসময় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে ওসি সাহেব পুলিশ নিয়ে এসে আসামীদের মা তথা মামলার ১নং বিবাদীকে গ্রেফতার করেন। উক্ত সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলে নিহত দেলোয়ার হোসেন এর বড়ছেলে মোশারফ হোসেন খালেদ, ও মেজছেলে শাহাদাত হোসেন সাজেদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।