অশান্ত পাহাড়ে চলছে সংঘাত ও হত্যাকান্ড।রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যার পরদিনই শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা (৫০) ওরফে বর্মাসহ ৫ জন নিহত হয়েছে।আহত হয়েছেন ৮ জন।

নিহতরা হলেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতান্ত্রিক) গ্রুপের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনক চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা। আহতদের মধ্যে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেতুলাল
চাকমা ও মাইক্রোবাসের চালক মো. সজীব মারা যান।
রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার অস্ত্রধারীদের হাতে নিহত হওয়া নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) দলের শীর্ষনেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার নিজগ্রাম নানিয়ারচরের কুকুরমারায় শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে আসছিলেন। আসার পথে বেতছড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে ওতপেতে থাকা সশস্ত্র অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারায় এবং খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আহত ৬ জনকে নেয়া হলে পথেই সেতু লাল চাকমা ও মাইক্রোবাস চালক মো. সজীব মারা যান। অবস্থার অবনতি হওয়া বাকি ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হল অর্চিন চাকমা (২৯), দিগন্ত চাকমা (২৩), অর্জুন চাকমা (২৩) ও মিহির চাকমা (২০)। আহত অন্য ৪ জন হল প্রীতিকুমার চাকমা (৪০), জীবন্ত চাকমা (৩০), শান্তিবরন চাকমা (৩৫) ও নিহার চাকমা (৫৩)।
বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে তার কয়েক সমর্থক ও সহকর্মী একটি মাইক্রোবাসে করে খাগড়াছড়ি থেকে নানিয়ারচর যাচ্ছিলেন। পথে ওই এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওতপেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী মাইক্রোবাসটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। প্রথমে চালক মো. সজীবের গায়ে গুলি লাগে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি উল্টে যায়। এরপর এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করে অস্ত্রধারীরা। গুলিতে ঘটনাস্থলেই ওই ৪ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সেখানে চালকসহ ২ জন মারা যান।