শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির নেতাকর্মিদের পরিবার ও স্বজনদের শান্তনা ও আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিতে মঙ্গলবার সারাদিন দন্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি গিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধিগন।
এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওবাদুর রহমান চন্দন,এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী,ব্যারিষ্টার সাইফুর রহমান,এ্যাডভোকেট গোলাম আখতার জাকির,এ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার,এ্যাডভোকেট লুবনা,এ্যাডভোকেট রওশোন আফরোজ,ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরেফা সুলতানা রুমা,যুবদলের পাবনা জেলা সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা প্রমুখ।
প্রতিনিধিদল সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেন,বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর মামলাকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মামলা বলে তদারকি করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদের যাবতীয় মামলার খরচ ব্যক্তিগতভাবে বহন করাসহ আনুসঙ্গীক বিষয়ে তদারকি করছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের এই বার্তাটি দিতেই ঢাকা থেকে আমরা আপনাদের বাড়িতে এসেছি।

সাজাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের পরিবার ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ব্যারিষ্টার মীর হেলাল বলেন বলেন, এই মামলা পরিচালনার জন্য একটি টাকাও পরিবার থেকে আপনাদের দিতে হবে না। কাউকে এই মামলার জন্য কোনোরূপ টাকা দেবেন না। কারণে এই মামলার সকল ব্যায় দলের পক্ষ থেকে বহণ করা হবে। মামলাটিকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মামলা হিসেবে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারেক রহমান। পর্যায়ক্রমে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আপনাদের নিকট আসবেন। যোগাযোগ রাখবেন। বিচলিত হবেন না। ধর্য্য হারাবেন না। হাইকোর্টে জামিনের জন্য নিম্ন আদালতের রায়ের কপি ইতোমধ্যে ঢাকাতে পৌঁছে গেছে।

উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে বিগত ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা মামলায় সম্প্রতি পাবনা আদালত ঈশ্বরদীর বিএনপির ৯ নেতাকে ফাঁসি, ২৫ জনকে যাবতজীবন ও ১৩ জন ১০ বছরের সশ্রম কারা ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্তদের বাড়িতে প্রথমে আসেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান রহমান শিমুল বিশ্বাস। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আইনি সহযোগিতা করার বার্তা নিয়ে আসলে দলীয় আইনজীবিদের একটি প্রতিনিধি দল।