জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জুলাই ৬, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 426 বার
রাজধানীর পানি সমস্যা দীর্ঘদিনের।ওয়াসার পানিতে পোকামাকড়ের পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত অ্যামোনিয়া। এছাড়া পাওয়া গেছে মলের জীবানুর অস্তিত্ব।রাজধানীবাসি বাধ্য হয়ে পান করছেন এই দূষিত পানি।
ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এছাড়াও কিছু-কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
নগরবাসীর অন্তহীন অভিযোগেও ওয়াসার টনক না নড়ায় তা গড়ায় আদালতে। ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনি ঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আটটি নমুনাতে পাওয়া যায় প্রচণ্ড মাত্রার দূষণ।
বেশি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে পাইপের সাহায্যে আসা পানিতে। পাইপ সংস্কার কিংবা পরিবর্তন এক যুগেও করতে দেখেনি শনির আখড়া ও জুরাইনের বাসিন্দারা।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার না করলেও এর জন্য ব্যবহারকারীদের উদাসীনতা আর সড়ক খোঁড়াখুঁড়িকে দায়ী করেন।
উল্লেখ্য , এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সে প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এরপর ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে ওই কমিটি গঠিত হয়। এরপর ওই কমিটিকে ২০১৯ সালের ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
Leave a Reply