নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মঞ্জুরখালি এলাকা থেকে মিনু বেগম (৩১) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১১।

শুক্রবার দুপুরে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখানে শত শত উৎসুক মানুষ হাজির হয়েছিলেন।

মিনু বেগম গত ২১ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সাবেক স্বামীকে আটকের পর এই নিখোঁজ রহস্য বেরিয়ে আসে। পরে হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বামী জুনায়েদ আহমেদকে (৪২) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ তালাক দেয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেছেন।

র‌্যাব জানায়, গত ২১ মে রাত ৩টার দিকে মিনু বেগমকে ফোনে নিজ বাসায় ডেকে নেন জুনায়েদ আহমেদ। এরপর থেকেই মিনু নিখোঁজ ছিলেন এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।

মিনুর হদিস না পেয়ে তার মা ও তিন বোন বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেন। এক পর্যায়ে খবর জানতে জুনায়েদের বাড়িতে যান। কিন্তু, আগেই জুনায়েদ বর্তমান স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

পরদিন মিনুর পরিবার সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পুলিশ জুনায়েদের বাসা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও লম্বা চুল জব্দ করে।

মিনুর পরিবার বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে জুনায়েদকে আটক করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে মিনুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন জুনায়েদ। তার দেয়া তথ্যে, শুক্রবার দুপুরে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, জুনায়েদ মিনুর পঞ্চম স্বামী। পাঁচ বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করেন। এক বছর আগে তাদের বিচ্ছেদও হয়। জুনায়েদ অবশ্য প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে মিনুর বাড়ির পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

জুনায়েদ এবং মিনুর বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি র‌্যাব। তাদের ধারণা, বিবাহিত প্রতিবেশী জুনায়েদের সঙ্গে চতুর্থ স্বামী পরিত্যক্তা মিনুর দীর্ঘদিন পরকীয়া চলছিল এবং টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। এরই জের ধরে জুনায়েদ মিনুকে হত্যা করেছে বলে র‌্যাব ধারণা করছে।

র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, মিনু হত্যাকাণ্ডে জুনায়েদের সঙ্গে আরও কেউ আছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিডিকে হত্যা মামলা হিসেবে নিয়ে জুনায়েদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।