অপরাধ সংবাদ, জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ মে ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 611 বার
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে একাধিক গীর্জা ও হোটেলে ভয়াবহ হামলায় আড়াই শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে হত্যার ঘটনার পেছনে ছোট কয়েকটি মুসলিম পরিবারের নেটওয়ার্ক কাজ করেছে বলে ধারণা করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা।
তবে কিভাবে ছোট ওই মুসলিম পরিবারগুলো এত বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলো তা ভাবিয়ে তুলেছে দেশটির গোয়েন্দাদেরকে। এ নিয়ে একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
বিবিসি জানায়, গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেবর্তী সময়ে ওই হামলার সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। দেশটির পশ্চিম সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার পুত্তালাম জেলার একটি নারকেল বাগান থেকে ১০০ কেজি বিষ্ফোরক এবং দশটি ডিটেনেটোর উদ্ধার করা হয়। ওই সময় দেশের কোথাও সন্দেহভাজন ইসলামিক মৌলবাদী কোনো গোষ্ঠি আছে কি না তা খতিয়ে দেখাও হয়। তখন নতুনভাবে গড়ে ওঠা চারজনের একটি ‘মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপকে আটক করেছিল পুলিশ।
এর ঠিক তিন মাস পরে ২১ এপ্রিল সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৫৩ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৫শ’রও বেশি।যাদের মধ্যে ৪০ জন বিদেশিও ছিলেন।
নারকেল বাগান থেকে উদ্ধার হওয়ার ওই ঘটনা, হামলার ঘটনা থেকে বিছিন্ন নয় বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। নারকেল বাগান থেকে বিষ্ফোরক উদ্ধার হওয়াকে হামলার পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায় অনেক শ্রীলঙ্কান সিরিয়ায় আইসের সঙ্গে যোগ দিয়ে আবার তারা দেশে ফিরে আসেন। এর ফলে দেশের ইসলামিক মৌলবাদী গ্রুপগুলো সক্রিয় হতে থাকে।
মার্কিন ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হামলার একাধিক সতর্কতা সত্ত্বেও এ ভয়াবহ হামলা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে পুত্তালাম থেকে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুইজনকে আটক করে। যাদের মধ্যে একজন ওই ভয়াবহ হামলার একটি অংশের প্রধান হিসেব কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়াও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিভাজনের কারণেও বারবার সতর্ক করা হলেও তা আমলে নেয়নি প্রশাসন। তবে দেশটিতে ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার মাধ্যমে যে শান্তি ছিল সেটাও একটি কারণ।
শ্রীলঙ্কার কাউন্টার টেররিজমের সাবেক পরিচালক বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো এবং তা একই গোপন রেখে হামলাকারীরা আমাদের হতবাক করেছে।
Leave a Reply