তিন গোলের লিড নিয়ে অ্যানফিল্ডে এসেছিল লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে ৪টি গোল হজম করে দলটি। ফলে সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। দলের সবারই তখন বিপর্যস্ত অবস্থা। তার উপর ম্যাচ শেষে হঠাৎ করে ডোপ টেস্টে ডাক পড়ে মেসির। আর কাজটা পূর্ণ হতে বেশ লম্বা সময়ই লেগে যায়। তাই অধিনায়ককে রেখেই অ্যানফিল্ড ছেড়ে যায় বার্সেলোনার টিম বাস।

রাতটাই ভয়ানকই কেটেছে মেসির। একে ম্যাচ হারার ক্ষতটা তখনও দগদগে। তার উপর ম্যাচ শেষ হতে না হতে ডোপ টেস্ট। তা করাতে গেলে আবার সময়টাও লেগে যায় বেশি। তাই আর অপেক্ষা করেননি তার সতীর্থরা। সিদ্ধান্তটা আসে বার্সা ম্যানেজমেন্ট থেকেই। তবে মেসিকে দ্রুত বিমানবন্দরে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা করে আসে তারা। পরে সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে যোগ দেন এ আর্জেন্টাইন।

দলের সবার মতো আগের দিন প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি মেসিও। তাকে দারুণ পাহারায় রেখেছিলেন লিভারপুলের ডিফেন্ডাররা। বিশেষকরে তার পেছনে ছায়ার মতো লেগে ছিলেন ফ্যাবিনহো তাভারেস। তবে তারপরও বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন পাঁচ বারের ব্যলন ডি’অর জয়ী এ তারকা। কিন্তু লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার যেন চীনের প্রাচীর হয়েই ছিলেন।

অথচ এ দলটিকে প্রথম লেগে দুটি গোল করে ফাইনালের দ্বারে এনে দিয়েছিলেন মেসিই। কিন্তু দুর্বল রক্ষণভাগের নিদর্শনে লিভারপুলের মাঠে পাত্তাই পায়নি স্প্যানিশ দলটি। গত মৌসুমেও কোয়ার্টার ফাইনালে তিন গোলে এগিয়ে থেকে রোমার মাঠে গিয়ে তিন গোল হজম করে বিদায় নিয়েছিল তারা।