কিডনি শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি পরিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে। সেই সঙ্গে রক্তে লোহিত কণিকার ভারসাম্য বজায় রাখে।

কিডনির সংক্রমণ খুবই বিপদজনক। প্রতি বছর গোটা বিশ্বে বহু মানুষ কিডনি জটিলতায় মারা যায়। এ কারণে সবারই প্রতি বছর একবার করে কিডনি পরীক্ষা করা উচিত। কিডনি সুস্থ রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এছাড়া এমন কিছু পানীয় আছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যেমন-

বিট জুস : বিট জুসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি রেডিকেল দূর করতে সাহায্য করে । এই পানীয়টি কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে। এছাড়া বিট রক্ত পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।

আদার রস : আদা এমন একটি মসলা যার নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি ফ্রি রেডিকেল সরাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কিডনি সংক্রান্ত প্রদাহ কমায়। কিডনি সুরক্ষিত রাখতে আদার জুস খেতে পারেন। এজন্য খোসা ছাড়ানো আদা কুচি আদা গরম পানিতে দিয়ে ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন। এরপর এতে সামান্য মধু দিয়ে খেতে পারেন। এটি কফ , পেট ব্যথা , কোলেস্টেরল কমানোসহ কিডনি পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।

লেবুর রস : অনেকেই জানেন, লেবুর রস ওজন কমাতে ও লিভার পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে। লেবু ও কমলার জুসে থাকা সাইটেট কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম সরায়। এতে কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ হয়। কিডনির সুরক্ষায় এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে চার থেকে পাঁচ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

ক্যানবেরী জুস : ক্যানবের জুস মূত্রাশয়ের সংক্রমণ দূর করতে দারুণ কার্যকরী। এটি কিডনিতে পাথর জমা দূর করতেও সাহায্য করে।

হলুদ চা : আদার মতো হলুদও বহু গুণসম্পন্ন একটি মসলা। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ থেকে সুরক্ষা করে। এছাড়া এটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে যা কিডনি রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে পরিচিত।হলুদ চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুড়া দিয়ে ১০ মিনিট জ্বালান। এরপর এর সঙ্গে লেবুর রস ও সামান্য গোল মরিচ দিয়ে পান করুন। সূত্র: হিউম্যান এণ্ড রিসার্স