‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’এই প্রতিপাদ্যে বাংলার নতুন বছরকে সাদরে বরণ করা হলো মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। এবারের শোভাযাত্রার সবচেয়ে বড় শিল্প-কাঠামোটি ছিল হরিণ। সোনালি বর্ণের এ হরিণের মধ্য দিয়ে সবাইকে সোনার মানুষ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আজ সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় ঘুরে টিএসসি হয়ে আবারও চারুকলার সামনে এসে সকাল ১০টায় শেষ হয় ।শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ হাজারো মানুষ।
হাজারো মানুষের ঢলে মঙ্গলের এই যাত্রায় ছিল কেবল আনন্দ আর আনন্দ, উল্লাস আর উচ্ছ্বাস। রৌদ্রোজ্জ্বল সকালবেলায় বর্ণিল যাত্রায় ছিল না বেদনার কোনো কালো ছায়া। নেচে–গেয়ে, ডাক-ঢোলের বাদ্য বাজিয়ে বাংলার চিরায়ত সাজে নববর্ষকে বরণ করছে সবাই। মঙ্গল শোভাযাত্রীদের অনেকে সামনে-পেছনে ঢাকঢোলের বাদ্যির সঙ্গে নৃত্য করেন, হাতে ধরা ছিল বিশালাকৃতির রঙবেরঙের মুখোশ। গ্রামবাংলার লোকজ ঐতিহ্য বিভিন্ন অবয়বের টেপা পুতুল আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন প্রতীকী শিল্পগুলো যেন বলে যাচ্ছে বাংলার আবহমান ঐতিহ্য-কথন।
তিন দশক ধরে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেসকোর বিশ্ব–ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে এ শোভাযাত্রা।মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এ জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শোভাযাত্রার দুপাশে নিরাপত্তার জন্য ছিল পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।