ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে আবারও নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। এ দাবির পক্ষে আন্দোলন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান ডাকসু ভিপি।

নুর বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলে আমি দায়িত্বগ্রহণ করব। না চাইলে করব না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে আমি গণভবনে গিয়েছি। সেটি আমার সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই গণভবনে গিয়েছি।

এদিকে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান বলেন, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা বিভক্ত হয়ে গেছি কিনা।
আমরা পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, আমরা একই অবস্থানে আছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তিনদিন শেষ হয়েছে। আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। তিনি বলেন, প্রশাসন আমাদের কাছে নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ চাইছে। আমরা বলতে চাই, প্রমাণের পথ আপনারা আগেই বন্ধ করে রেখেছিলেন। নির্বাচনের আগের দিন আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলাম, আপনারা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন না। আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, প্রশাসন এ ধরনের একটি নাটক সাজাতে পারে। আসিফ বলেন, সুষ্টু নির্বাচনের দায় যেমন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের, একইভাবে কারচুপির প্রমাণ খুঁজে বের করার দায়ও প্রশাসনের। এবং আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো রকম সহযোগিতায় নেই। অতীতে আমরা প্রমাণ উপস্থাপন করেও কোন বিচার পাইনি। নির্বাচন বর্জন করা পাঁচটি প্যানেলের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন অরণি সেমন্তি খান। দাবিগুলো হল, সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচন বাতিল, পুনরায় তফসিল ঘোষণা, ‘ব্যর্থ ভিসির’ অপসারণ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার। এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৮ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে রাজু ভাস্কর্য থেকে জমায়েত হয়ে ভিসি কার্যালয়ে দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন তিনি। অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।