এক মাস আগেও টন প্রতি ৫৮ থেকে ৫৯ হাজার টাকা দাম ছিলো রডের। এখন সেটি ৭০ থেকে ৭১ হাজার টাকা । রড উৎপাদনে কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি এবং এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় রডের মূল্যবৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু এত বেশি দাম বৃদ্ধির জন্য অনেকেই সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন।
সংসদীয় কমিটির কাছে কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন, ভোটের বছরে ‘সিন্ডিকেট করে’ রডের দাম বাড়িয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত করা হচ্ছে।
সংসদীয় কমিটির কাছে কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন, ভোটের বছরে ‘সিন্ডিকেট করে’ রডের দাম বাড়িয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগে লিখেছেন, দেশে হঠাৎ করে রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিকাদাররা অনেক জায়গায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এ খাতের ব্যবসায়ীদের দাবী রডের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার ও বন্দরের খরচ বৃদ্ধি, পণ্য পরিবহনে ওজনসীমা নির্দিষ্ট করে সরকারর এক্সেল লোড আইন প্রবর্তন, গ্যাসের সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ার কারণেই রডের দাম বেড়েছে। বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় টন প্রতি ৯ হাজার ৮৯২ টাকা বেড়েছে রডের দাম। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতি টন রডে ১ হাজার ৭০৮ টাকা খরচ বেড়েছে। তা ছাড়া স্পঞ্জ আয়রন ও ফেরো অ্যালয়েজ নামক রাসায়নিকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রডের দাম প্রতি টনে ১ হাজার ৯৮৯ টাকা বেড়েছে। বন্দর ও পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি টন রডের মূল্যে ১ হাজার ৪৬৮ টাকা বেড়েছে।
সম্প্রতি ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের অনুরোধে প্রতি টন রডের মূল্যে ২ হাজার এবং বুধবার শিল্পসচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতি টন রডের মূল্যে আরো ১ হাজার টাকা কমানোর ঘোষণা দেন ।কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জানান, রডের দাম যে হারে বেড়েছে সে হারে কমানোর ঘোষণা আসেনি।