জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বহুমূত্র রোগের কারক হল বৃহস্পতি। কারণ বৃহস্পতি গ্রহ মানুষের লfভার ও যকৃৎকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অগ্ন্যাশয় বৃহস্পতি গ্রহ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মূত্রগ্রন্থির ওপর মঙ্গলগ্রহের বিশেষ অধিকার, আর যকৃত নিয়ন্ত্রণ করে বৃহস্পতি। তুলা রাশিও হল মূত্রগ্রন্থির নিয়ন্তা। অতএব, বহুমূত্র রোগ সম্বন্ধে বিচার করতে হলে তুলারাশির অধিপতি শুক্রের অবস্থানও বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করতে হবে। অর্থাৎ কোনও জাতক-জাতিকার বহুমূত্র রোগ হবে কি না, তা জানতে হলে বৃহস্পতি, মঙ্গল ও শুক্রগ্রহের অবস্থান পর্যালোচনা করতে হবে।

জন্মকুণ্ডলীকে কী রূপ গ্রহাবস্থান বহুমূত্র রোগ হতে পারে দেখে নেওয়া যাক:

১। জন্মকুণ্ডলীতে বৃহস্পতি দুর্বল বা অশুভ হলে বহুমূত্র বা মধুমেহ রোগ হতে পারে। বিশেষ করে কারও জন্মকুণ্ডলীতে বৃহস্পতি যদি তুলা রাশি কিংবা বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থিত হয় এবং অশুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয়, তবে বহুমূত্র রোগ হতে পারে।

২। জন্মকুণ্ডলীতে শুক্রগ্রহ যদি পাপ গ্রহ দ্বারা যুক্ত বা দৃষ্ট হয়ে লগ্নের অষ্টমে অবস্থিত হয়, তবে এরূপ জাতকের বহুমূত্র রোগ হতে পারে।

৩। জন্মকুণ্ডলী শুক্র ও মঙ্গল যদি একত্রে কর্কট, মিন বা বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থিত হয়, তবে এরূপ জাতকেরও বহুমূত্র রোগ হতে পারে।

৪। যে কোনও পাপগ্রহ যদি জলজ রাশিতে অবস্থিত হয় (কর্কট, মীন ও মকর রাশির শেষ ভাগকে বলা হয় জলজ রাশি), সে ক্ষেত্রেও বহুমূত্র রোগ হতে পারে।

৫। লগ্নের অষ্টমে পাপ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয়ে যদি মঙ্গল অবস্থিত হয়, সে ক্ষেত্রেও বহুমূত্র রোগের আশঙ্কা থাকে।

৬। সচরাচর যাঁদের কর্কট, বৃশ্চিক বা মীন লগ্নে জন্ম তাঁদের বহুমূত্র রোগ হয়ে থাকে।