জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 392 বার
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৪৯ টি সংরক্ষিত আসনের কোনোটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচিত হন তারা। নির্বাচিত ৪৯ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন।
শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। পাশাপাশি অতিরিক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, ‘সংরক্ষিত ৪৯টি নারী আসনের কোনোটিতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের চূড়ান্ত তালিকা রোববার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের জন্য রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবকে চিঠি দেওয়া হবে। পরবর্তীতে কমিশন থেকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে’।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ৪৯টি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে ৪৯ প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দেন পূর্ব নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে। ১২ ফেব্রুয়ারি জমা পড়া ৪৯ টি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সব মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় প্রত্যেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত ৪৩ প্রার্থীরা হলেন ঢাকার শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াসিকা আয়েশা খান, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনার সুলতানা নাদিরা, জামালপুরের মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোনার হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুরের শেখ এ্যানি রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক ও মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারীর রাবেয়া আলী, নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহের মোছা. খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালীর কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুরের জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুরের রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুরের পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ীর খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুরের মোসা. তাহমিনা বেগম, পাবনার নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোরের রত্না আহমেদ। জাতীয় পার্টির অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। ওয়ার্কার্স পাটির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়েছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে তাদের মাঝে সংরক্ষিত নারী আসনগুলো বণ্টন করা হয়। সে অনুযায়ী বিএনপির একটি আসন পাওয়ার সুযোগ থাকলেও সংসদ নির্বাচনে দলটির বিজয়ী সদস্যরা এখনও শপথ না নেওয়ায় তাদের সংরক্ষিত নারী আসনটি স্থগিত রয়েছে।
আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সাংসদ হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
Leave a Reply