স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপার পরকীয়া প্রেমের জেরে রংপুরের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে র‌্যাবের মহাপরিচালক(ডিজি) বেনজির আহমেদ জানিয়েছেন। বুধবার সকালে র‌্যাবের ডিজি হেলিকপ্টারে করে রংপুরে আসার পর দুপুরে র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় বেনজির আহমেদ বলেন, ৩০ মার্চ সকাল থেকে রথীশের নিখোঁজের ঘটনা ছিল তার স্ত্রী দীপা ভৌমিকের সাজানোর নাটক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১০টা দিকে শোয়ার ঘরে রথীশকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। ঘুমের বড়ি খাওয়ানোর পর অচেতন হয়ে গেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর রাতে মৃতদেহ শোয়ার ঘরেই রেখে দেওয়া হয়।
পরদিন ভোর পাঁচটায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কামরুল। পরে সকাল ৯টায় ফের কামরুল একটি ভ্যান নিয়ে আসেন। একটি স্টিলের আলমারী পরিবর্তনের নাম করে রথীশের লাশ বস্তায় ভরে তা আলমারিতে ভরে ভ্যানে করে তাজহাট মোল্লাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কামরুলের বড় ভাই খাদেমুল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে আগে থেকেই বালু খুঁড়ে গর্ত করে রাখা হয়েছিল। বেলা ১১টায় বস্তায় ভরা রথীশের লাশ সেই গর্তে পুঁতে রাখা হয়।

গর্ত খোঁড়ার কাজ করে কামরুলের দুই ছাত্র সবুজ ইসলাম(১৭) ও রোকনুজ্জামান(১৭)। তাদের বাড়িও তাজহাট মোল্লাপাড়ায়। তারা তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ২৬ মার্চ ৩০০ টাকার বিনিময়ে তারা গর্ত খুঁড়ে রাখে। তাদেরকেও গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, কামরুল তাদের শিক্ষক হওয়ায় তারা আদেশ পালন করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্নিগ্ধা সরকার, কামরুল ইসলাম, দুই এলাকাবাসীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে এই নিখোঁজের ঘটনায় ১ এপ্রিল নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।