চট্টগ্রামে চিকিৎসক ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও থানায় মামলাটি দায়ের করেন আকাশের মা জোবেদা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আকাশের পরিবারের অভিযোগ এবং ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কিছু তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকেই তানজিলা হক মিতুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের। দীর্ঘ প্রেমের ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় মিতু ও আকাশের। বিয়ের পর উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ইউএসএ চলে যায় মিতু। ইউএসএ থেকেই মিতুর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক নিয়ে ডা. আকাশের দাম্পত্য কলহ চলছিল।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসে মিতু। এরপর দুজনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতভর আকাশের চাঁদগাও আবাসিক এলাকার বাসায় মিতু ও আকাশের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ওই সময় আকাশের বাসায় মিতুর একটি ভিডিও ধারণ করা হয়। যে ভিডিওতে মিতু তার একাধিক বন্ধুর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে। ভিডিওতে মিতুকে আতঙ্কিত দেখা যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ তার স্ত্রীর নৈতিক স্খলনজনিত ছবি সম্বলিত স্ত্রীর বেপরোয়া জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তার নিজের ফেসবুকওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।