রংপুরে নিখোঁজ আইনজীবী ও আ.লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। ।র‌্যাব জানিয়েছে,এডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও সহকর্মী প্রেমিক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রথীশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক এবং দীপার দুই সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় অভিযানে নামে র‍্যাব। তাঁদের দেওয়া তথ্য মতে লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। কামরুল ইসলামের ভাইয়ের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার লাশ।
নিহত রথীশ চন্দ্রের নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে তাঁর লাশ মাটিচাপা দেওয়া ছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রথীশের লাশ উদ্ধার করা হয়। রথীশের ভাই সুশান্ত ভৌমিক লাশ শনাক্ত করেন। র‍্যাব-১৩ অধিনায়ক আরমিন রাব্বি সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
রংপুরের বিশেষ আদালতের পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় শহর রংপুরের সর্বত্র নানা আলোচনা চলছে। তার নিখোঁজ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন- কেউ বলছে বাবু সোনা আত্মগোপন করেছেন। কারো কারো মতে তার প্রতিপক্ষ ডেকে নিয়ে গেছে। কারো ধারণা তাকে জেএমবি তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। নানা মুখে ঘুরে বেড়ায় নানা কথা।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে গেছে, রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলামের সঙ্গে দীপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। পরকিয়ার জেরে কামরুল ও দীপা পরিকল্পিতভাবে বাবু সোনাকে হত্যার পর তার মরদেহ মাটির নিচে পুঁতে রাখেন।
উল্লেখ্য, আইনজীবি বাবু সোনা জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার বিশেষ পিপি ছিলেন। বাবুসোনা জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছাড়াও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর বিভাগের ট্রাস্টি, পূজা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন।