বাংলাদেশে মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলন বিলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো শুরু হয়েছে দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছের শুটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া। ফলে শুটকি চাঁতালে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

সিরাজগঞ্জ-পাবনা-নাটোর ও নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত চলন বিল। বর্ষা মৌসুমে কানায় কানায় ভরে ওঠে দেশের বৃহত্তম এই বিলটি। এ সময়ে সংযুক্ত সব নদ-নদীগুলো থেকে আসা বিপুল পরিমাণ দেশীয় প্রজাতির মাছ চলে আসে এবিলে। শীতকালে পানি কমে যাওয়ায় জেলেদের মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায়। এসব মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের পাশাপাশি চলে শুটকি উৎপাদনের ধুম। এ বিলে শুটকি উৎপাদনের সাথে জড়িতরা এখন ব্যস্ত সময় সময় অতিবাহিত করছেন।

চলন বিলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রায় তিন শতাধিক শুটকির চাঁতাল রয়েছে। এসব চাঁতালে দেশীয় প্রজাতির টেংরা, পুঁটি, খলসে, বাতাসি, চেলা, মলা, টাকি, বাইম, শোল, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিং, কৈ, বেলেসহ নানা প্রজাতির সুস্বাদু মাছের শুটকি করা হচ্ছে। এসব শুটকিমাছ দেশের চাহিদা পুরণ করে বিদেশেও রফতানি হয়।

তাজা মাছের চেয়ে শুকনা মাছে পরিমানে বেশি প্রটিন থাকে, এমন কথা জানালেন, ফিসারিস্ট জেসমিন আরা।

দীর্ঘদিন ধরে এখানে শুঁটকি মাছ উৎপাদন হলেও এখানো গড়ে ওঠেনি প্রক্রিয়াজাত ও বিপণন ব্যবস্থা। শুটকি উদপাদনকারীদের দাবী সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হলে আরো বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।সূত্র-ভোয়া