প্রেম মানেই আমরা ধরে নিই যে এই বিষয়টা যৌবনের সঙ্গে যুক্ত। যুবক বা যুবতী বয়সেই মানুষ প্রেম করে। কিন্তু অনেক কারণে কেউ কেউ আবার প্রাপ্ত বয়সেও প্রেমে পড়ে। তারকারণগুলি হল কামুকতা, মানসিক নির্ভরতা বা একাকিত্ব। এ বার দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে বা কেন কিছু মানুষ প্রাপ্ত বয়সে প্রেমে পড়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রেম বিচার করা হয় পঞ্চম ভাবের নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহের অবস্থান দিয়ে। এ ছাড়া সহকারীভাব হিসেবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, সপ্তম ও একাদশের ভাব বিচারকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। পঞ্চমভাব দিয়ে প্রেম বিচার করা হয় কেন? মানুষের জীবনের আনন্দ, সুখ, আমোদ-প্রমোদ, অর্জিত শিক্ষানুযায়ী বহিপ্রকাশের ধরন ইত্যাদি এই পঞ্চমভাব দিয়ে বিচার হয়। আর প্রেমের মাধ্যমেই এই বিষয়গুলো উপলব্ধি করা যায়। তাই পঞ্চমভাব থেকে প্রেম বিচার করা হয়। দ্বিতীয় ভাব থেকে বাকশক্তি, মুখের বহিপ্রকাশ অর্থাৎ ঠোঁট ও চোখের প্রভাব, চিন্তা, নতুন ভাবে সম্পর্ক ও সংসার গঠন ইত্যাদি বিচার করা হয়। তৃতীয় ভাব থেকে বিচার হয় চিন্তাশক্তি, আগ্রহ, কৌতূহল, যোগাযোগ করানোর পরিবেশ, সংসার করার ইচ্ছা ইত্যাদি। একাদশ ভাব থেকে বিচার হয় সন্তোষজনক মানসিকতায় থাকার জন্য কৃত অনুষ্ঠান।

যদি পঞ্চমভাবের মুল নিয়ন্ত্রক কারক গ্রহ পঞ্চম, অষ্টম, দ্বাদশ ও অশুভ বুধ ও শুক্রের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং অশুভ মঙ্গল ও রাহু অশুভ অষ্টমভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়ে উক্ত বুধ ও শুক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তা হলে বার্ধক্যে প্রেম বা অবৈধ সম্পর্ক হয়।

এ ক্ষেত্রে বুধ অস্থির মানসিকতা, দ্বিচারিতা, নিজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না হওয়া ইত্যাদি নির্দেশ করে। অষ্টম নির্দেশ করে কামুকতা বা যৌনতা উপভোগ, পঞ্চম নির্দেশ করে আকর্ষণ করা বা আকর্ষিত হওয়া ইত্যাদি এবং দ্বাদশ নির্দেশ করে পূর্ব বিষয়, নিজের সত্ত্বা বিসর্জন করা বা অবৈধতা, শয্যাসুখ ইত্যাদি।