আপাতত নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত রখলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনে ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান। আজ শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ নির্মূলের যে উৎসব ক্ষমতাসীনরা আমদানি করেছে, চুড়ান্ত বিচারে তা কারো কাম্য নয়। জনগণের একতাবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচারের পতন ঘটবে। অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গণসংযোগ ও প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ, নির্বাচনে সকলের সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিতকরণ, নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী তল্লাশি বন্ধ, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার বন্ধ, দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর বন্ধের দাবি জানাই।
উদ্ভূত পরিস্থিতি, প্রশাসনের চরম অসহযোগিতা, পুলিশের বেপরোয়া আচরণ এবং একটি দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে আমরা আমাদের নির্বাচনী কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আমি প্রচার প্রচারণার সিদ্ধান্ত নিব।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আজ সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট জাকারিয়ার বাড়িতে কর্মীরা দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নেয়ার সময় হঠাৎ করে ডিবি পুলিশ ও চরজব্বর থানা পুলিশ বিনা উস্কানিতে অতর্কিতে অসংখ্য গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের বিচ্ছিন্ন করে এবং বেদম প্রহার করে। এতে বিএনপির প্রায় ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা বিএনপি সভাপতি এডভোকেট জাকারিয়া, বিএনপি কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মাহবুব আলমগীর আলো, বিএনপির –সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী. কৃষকদলের সভাপতি কাদের, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখুসহ ১৬জন নেতাকর্মীতে গ্রেফতার করে। ফলে নিজের এবং নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।