শাকিব ও অপুর বিচ্ছেদের মাধ্যমে যে দেয়াল তৈরি হয়েছিল, সে দেয়াল ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভক্তরা। অবশ্য ভক্তদের দাবি একেবারে অযৌক্তিক নয়। শাকিব ও অপুর মাঝাখানে আব্রাম খান জয়, আর জয়কে ঘিরেই দুজনের মধ্যে এখন ‘সু সম্পর্ক।’

দাম্পত্যজীবনের টানাপোড়েনের মুখে চলতি বছরের মার্চে দু’জনের বিচ্ছেদ ঘটে। জয় এখন অপু বিশ্বাসের কাছেই থাকে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন উৎসবে তাকে দেখতে যান শাকিব খান।

সম্প্রতি শাকিব আর অপু তাদের ছেলের স্কুলে ম্যাচিং করা পোশাকে হাজির হন। জানা গেছে, মা অপু বিশ্বাসের কথা রেখেছেন বাবা শাকিব খান, পরেছেন একই ডিজাইনের পোশাক। একই ডিজাইনের পোশাক ছিল জয়ের পরনেও। এই পোশাকের ডিজাইন করেছেন অপু বিশ্বাস নিজেই।

অপু বিশ্বাস বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জয়ের স্কুলে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমি জয়ের বাবাকে বলেছিলাম, চলো, অনুষ্ঠানে আমরা একই পোশাক পরি। একই পোশাক পরলে ভালো হয়। জয়ের বাবাও বলল ঠিক আছে। ভাবনাটা তো সুন্দর। জয়ের ক্লাসে সব মিলিয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী, সবাই সন্তানের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরেছে। শাকিবও আমার কথা মতো একই ডিজাইনের পোশাক পরেছে। এটা জয়ের জন্য ছিল বাড়তি আনন্দ।

অপু জানান, তাদের ম্যাচিং করা পোশাক পরার পেছনে একটি উদ্দেশ্যও ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের চাওয়া, প্রি-স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের ছবি দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হবে। কারণ, শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ঢুকবে, তখন তারা যেন বাবা-মায়ের হাসিমুখের ছবিটাই দেখে। এখান থেকে বাচ্চারাও উৎসাহিত হবে। বাচ্চাদের হ্যাপি মোমেন্টস উপহার দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তারা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং করে গেছেন। গত বছর ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন গোপন রাখার পর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে বিয়ের তথ্য প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে সাক্ষর করেন শাকিব খান। এরপর তাদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাছে গেলে সেখান থেকে শাকিব-অপুকে তলব করা হয়। সেখানে অপু বিশ্বাস উপস্থিত থাকলেও শাকিব খান উপস্থিত ছিলেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় তখন তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।