অন্যান্য, অপরাধ সংবাদ, কৃষি কথা, জাতীয় স্বদেশ, জেলা সংবাদ | তারিখঃ মার্চ ৩১, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1236 বার
বহুল আলোচিত হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিউটি আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনায় মূল আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।আজ শনিবার দুপুরে সিলেটে র্যাবের সদর দফতরে এক প্রেস কনফারেন্সে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে জানান র্যাবের মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
র্যাব-৯ সিলেটের একটি টিম জেলার বিয়ানিবাজার এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি র্যাবের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ওই অঞ্চলের একটি হাওরে বিউটির মৃতদেহ পড়ে থাকার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিউটি আক্তারকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউপির নারী সদস্য কলম চাঁন বিবির ছেলে বাবুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে কলম চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এবং বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল আসামি বাবুল শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়,গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে তার লাশ হাওড়ে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
১৮ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে কলম চান ও বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর অবশেষে গতকাল রাতে বাবুলকে গ্রেফতার করা হলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রথম মামলার পর ধর্ষণের বিচার না হওয়ায় ওই কিশোরীকে হত্যার শিকার হতে হয়েছে।
Leave a Reply