নীলাকে হিন্দিতে নীলম, সংস্কৃতে নীলাশ্ম, সৌপিপত্ন, ইন্দ্রনীল, তৃণগ্রাহী, মহানীল, নীলোৎপল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। নীলকান্তমণি বা নীলা মুলত নীল রঙের হলেও এটি পীতাভ আভাযুক্ত, গোলাপী আভাযুক্ত, অপরাজিতা ফুলের মতো নীলাভ, রক্তাভ ইত্যাদি নানা রঙেরও হয়ে থাকে। রং অনুসারে এর ইন্দ্রনীলা, অপরাজিতা নীলা, রক্তমূখী নীলা ইত্যাদি বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। অনেক সময় গহনা তৈরি বা অন্য কোনো কারণে নীলা পাথর কিনতে যেয়ে অনেকেই ঠকে যান। কারণ একটাই তিনি আসল নীলা পাথর চেনেন না। চিন্তার কিছু নেই আজ খাঁটি নীলা চিনবেন কী করে, আসুন সেটা জেনে নিন।

খাঁটি নীলার ক্ষেত্রে একটি পাত্রে গরুর বিশুদ্ধ দুধ রেখে তার মধ্যে রত্নটি ডুবিয়ে রাখলে দুধের মধ্যে থেকে নীল রঙের আভা বিচ্ছুরিত হতে থাকে।

• নীলার প্রপ্তির স্থান: নীলা শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, রোডেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়। কাশ্মীরের ময়ূরকন্ঠী নীলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নীলা বলে মনে করা হয়।
• নীলার আয়ুর্বেদিক শোধন পদ্ধতি: আয়ুর্বেদ মতে, নীল গাছের রসে নীলা শোধন করা উচিত। তবে শাস্ত্রীয় মতে গ্রহ পূজা করেও নীলা শোধন করা যায়।

নীলার ধারণের জন্য শরীরের ঊর্দ্ধাঙ্গ সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। তবে হাতের মধ্যমায়ও নীলা ধারণ করা যায়।

নীলার ধারণের ধাতু: সোনা বা সীসায় সঙ্গে নীলা ধারণ করতে হয়।