মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবি এবং তার হয়ে বিভিন্ন কাজে মধ্যস্থতাকারী মাইকেল কোহেনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ওয়াশিংটনের এক আদালত। বুধবার এই রায় দেন আদালত। সিএনএন

কোহেন আদালতকে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি যা করেছেন তার পূর্ন দ্বায়িত্ব তার নিজের। কোহেনের এই সাজা কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করা যে কোন ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্ছ। এছাড়াও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার মধ্যস্ততা সম্পর্কিত কোন মামলায় ঘোষিত সর্বোচ্চ রায় এটিই। কোহেন বলেন, ‘আমি যে কয়টি অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত হয়েছি, তার পূর্ন দ্বায়িত্ব আমি নিচ্ছি। এগুলো আমার ব্যক্তিগত অপরাধ। এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নূন্যতম সম্পর্ক নেই।’ আদালতে বক্তব্য দিলেও প্রাঙ্গণ ত্যাগের সময় কোহেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথাই বলেননি।

নিউইয়র্কে কেন্দ্রীয় আইনজীবিদের অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে আরো ৮টি মামলায় দোষি সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এবং এরজন্য তার ৩৬ মাসের সাজা হয়েছিলো। আদালত জানিয়েছেন, একই সময়ে তার সাজাগুলো কার্যকরী হবে। অর্থাৎ তাকে ৩ বছরের বেশি জেলে থাকতে হবে না। কোহেন জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ শুরুর পর থেকেই শারিরিক এবং মানষিক কারাগারে রয়েছেন।

কোহেন বলেন, ‘এটি হয়তো বিশ^াস করা কঠিন, কিন্তু আজ আমার জীবনের জন্য এক অসাধারণ দিন। আমি সেদিন থেকে মানষিক এবং শারিররিক ভাবে কারাভোগ করছি, যেদিন থেকে আমি একজন আবাসন মোগলের কাজ করার প্রস্তাব গ্রহণ করি, যার ব্যবসার তীক্ষবুদ্ধি আমি দারুণ সম্মান করতাম।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে ট্রাম্পের নৈতিক পরাজয় ঘটলো এবং অভিশংসনের সম্ভাবনা বেড়ে গেলো।