একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানরাও মনোনয়ন পেয়েছেন কয়েকটি দল থেকে। এরই মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণাও করেছেন সংশ্নিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী হিসেবে পরিচিত তিনজনকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে এবং একজনকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মনোনয়ন পেয়েছেন দণ্ডিত দুই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে এবং একজন অভিযুক্তের ছেলে। মনোনয়নপ্রাপ্ত স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার ভাই আবদুল মোহিত তালুকদার (বগুড়া-৩ দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি)। প্রথমে মোমিন তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে তার ভাইকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মনোনয়ন পেয়েছেন নূরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক (কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী-খোকসা) এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫ কানাইঘাট-জকিগঞ্জ)। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মোসলেমউদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়িয়া)।

মনোনয়ন বৈধ দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের :এদিকে, দণ্ডিত তিন যুদ্ধাপরাধীর দুই ছেলে নির্বাচন করছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং একজন যুদ্ধাপরাধীর ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি) আসন থেকে। তার বাড়ি পিরোজপুর-২ নির্বাচনী এলাকার ইন্দুরকানী উপজেলায়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আসন্ন নির্বাচনে আপেল প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

মনোনয়ন পেয়েছেন জয়পুরহাট-১ আসন থেকে সাবেক মন্ত্রী বিএনপি নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত প্রয়াত আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত রাজাকার প্রয়াত খলিলুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগের শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসন থেকে। রিমন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।

তাদের সবার মনোনয়নপত্রই রোববার বৈধ ঘোষণা করেছেন নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিশিষ্টজনের ক্ষোভ :যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের মনোনয়ন দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, এটা স্ববিরোধিতা। একাধিক সংগঠন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সন্তানদের মনোনয়ন না দিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রচার চালিয়ে আসছে।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সমকালকে বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত ছিল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া। কিন্তু যেহেতু দলগুলো সেটা করেনি, এখন নিজ নিজ এলাকার ভোটারই সিদ্ধান্ত নেবেন- তারা যুদ্ধাপরাধী বা তাদের সন্তানকে ভোট দেবেন কি-না।

এ প্রসঙ্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমকালকে বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের মনোনয়ন দেওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এদের বর্জন করতে হবে এবং আসন্ন নির্বাচনে ওই সব এলাকায় যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। অথচ সেই দল থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। যুদ্ধাপরাধী পিতার অপরাধের জন্য যতক্ষণ না তাদের সন্তানরা ক্ষমা চাইবে, ততক্ষণ তাদের বর্জন করতে হবে। রাজাকারমুক্ত সংসদ গড়তে নির্বাচন কমিশনেরও (ইসি) দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সমকালকে বলেন, বিজয়ের মাসে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দুটি রাজনৈতিক দল থেকে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের মনোনয়ন দেওয়ায় শহীদ পরিবার ও বিচারপ্রার্থীরা হতবিহ্বল ও আতঙ্কগ্রস্ত। এটা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে স্ববিরোধিতা।

গত ২৯ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো যুদ্ধাপরাধীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে না। তবে ২ ডিসেম্বর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানান, বিএনপি সারাদেশে ২৫ জনের মতো যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের মনোনয়ন দিয়েছে। গত রোববার মাদারীপুর জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই সভা-সেমিনার করে সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান করা হয়েছে, তারা যেন যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের মনোনয়ন না দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, বিএনপি ও জামায়াত অনেক চিহ্নিত রাজাকারকে নমিনেশন দিয়েছে।

তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী রিমন :’কুখ্যাত রাজাকার’ হিসেবে চিহ্নিত প্রয়াত খলিলুর রহমানের ছেলে শওকত হাচানুর রহমান রিমন বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা ও বেতাগী) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এ আসনের এমপি। এর আগে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তাবলিগে যুক্ত শওকত হাচানুর রহমান রিমন নিজেকে ‘রাজাকারের ছেলে’ হিসেবে পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করেন না। এলাকার কয়েকজন জানান, আওয়ামী লীগ থেকে ‘যোগ্য ও ভালো প্রার্থী না থাকায়’ তাকেই বারবার মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাথরঘাটার রায়হানপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বরগুনা মহকুমার পিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত খলিল রাজাকার স্বাধীনতার পর একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও হন। আশির দশকের শেষ দিকে মারা যান তিনি। গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা মনি মণ্ডল বরগুনা-২ আসন থেকে শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান।

মোসলেমউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইসিটিতে :ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে অ্যাডভোকেট মোসলেমউদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ দাখিল করা হলেও নানা কারণে এখনও তদন্ত শুরু করা যায়নি বলে সমকালকে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হাননান খান।

বর্তমান এমপি মোসলেমউদ্দিন এর আগেও পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ময়মনসিংহে রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এম এ হাসানের দেওয়া যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় মোসলেমউদ্দিনের নাম রয়েছে। ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জোড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহেদ আলী ম লের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

আনছারের বিরুদ্ধে অভিযোগ :কুষ্টিয়া-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী নূরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হয় ২০০৯ সালের ১০ জুন। খোকসা থানায় করা এ মামলা ২০১৫ সালের শেষে ঢাকায় আইসিটিতে স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় আনছার চার নম্বর আসামি। তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

২০০৯ ও ২০১০ সালে কুষ্টিয়ায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে প্রণীত রাজাকারের তালিকায়ও আনছারের নাম রয়েছে। তবে নিজেকে ‘আওয়ামী পরিবারের সন্তান’ দাবি করার পাশাপাশি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা আনছার।

এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আনছার প্রামাণিক কুমারখালী উপজেলায় রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। তারা সে সময় কুমারখালী বাজারে কালীদাস, কালাদত্ত ও চিত্তশার দোকান লুট করেন। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন যদুবয়রা গোবিন্দপুর গ্রামে গৌড় ঠাকুরের বাড়িতে। হেলালপুর গ্রামে দুই ভাই বীরেন্দ্রনাথ ও ধীরেন্দ্রনাথকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের ছোট ভাই হরেন্দ্রনাথ আইসিটিতে একটি মামলা করেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন।

মোমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ :যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা পলাতক। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার মেয়ে নাছিমা আক্তার লাকি।

আদমদীঘি উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সুবেদ আলী ২০১১ সালের মার্চে বগুড়ায় আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলায় বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর আদমদীঘি বাজারের পশ্চিমে খারির ব্রিজের উত্তর শ্মশানঘাটে আবদুল মোমিন তালুকদার গুলি করে মনসুরুল হক তালুকদার টুলু, আবদুস ছাত্তার, আবদুল জলিল, আলতাফ হোসেনসহ ১৫ মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেন। মোমিনের বাবা মৃত আবদুল মজিদ তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবা-ছেলে দু’জনই সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

২০১৭ সালের ১৮ মে মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকার পরও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ শিমন সমকালকে বলেন, সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি জানান, মোমিন তালুকদার মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের আদমদীঘি থানা কমান্ডার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সে সময় হত্যা, নির্যাতন ও লুণ্ঠন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগ গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মোমিন তালুকদার বগুড়া-৩ আসন থেকে দু’বার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তিনি। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক।

আদমদীঘি থানার কায়েতপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সুবেদ আলী ২০১১ সালের মার্চে বগুড়ার আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা মোমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আইসিটিতে অভিযোগ জমা হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা।

মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী :সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে ফের প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত নেতা মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী। তিনি এবার বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার পর ফরিদউদ্দিন আলোচনায় আসেন। সরকার প্রণীত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় ফরিদউদ্দিনের নাম ছিল ২৪ নম্বরে। এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদউদ্দিন আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। সিলেট শহরতলি খাদিমনগরের আলবদর বাহিনীর ৩১ পাঞ্জাব হেডকোয়ার্টারে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সূত্র-সমকাল