গতকালকের মত আজও সকাল থেকে বিএনপির গুলশানের কার্যালয়ে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আবদুল্লাহ ও কুমিল্লা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মুনজুরুল আহসান মুন্সির কর্মী-সমর্থকরা তাদের নেতাদের মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

দুপুর পর্যন্ত তারা অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এই দুই আসনে কুমিল্লা-৪ এ জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন চূড়ান্ত মনোনয়ন পান ধানের শীষে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বেরিয়েই তোপের মুখে পড়েন তিনি। যদিও জাফরুল্লাহ চৌধুরী তখন বলেন, তিনি বিএনপিরও কেউ নন, মনোনয়ন দেওয়াও তার বিষয় নয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বের হলেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ঘিরে ধরেন কুমিল্লা-৪ অাসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত মঞ্জুরুল অাহসান মুন্সির সমর্থকরা। ওই অাসনটি বিএনপি ছেড়ে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জেএসডিকে। সেখানে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অাব্দুল মালেক রতন। মুন্সির সমর্থকরা তখন রতনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। একইসঙ্গে মুন্সিকে মনোনয়ন না দিলে কুমিল্লায় বিএনপির নাম-নিশানা মুছে দেওয়ার হুমকি দেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে বারবার তার পথরুদ্ধ করেন বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা। এসময় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘অামি বিএনপির কেউ নই। মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া তাদের দলীয় বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্বার্থে অনেক কিছু করা হয়েছে। পরবর্তীতে সমন্বয় সাধন করা হবে। জোট ক্ষমতায় গেলে কাউকে চাইলে সরাসরি মন্ত্রীও বানাতে পারে। সুযোগতো অাছেই।

পরে উপস্থিত মুন্সির সমর্থকরা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সামনে থেকে সরে গেলে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ও নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। কয়েক দফায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে দু’টি কার্যালয়ে।