চীনে ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ সুবিধা পাবেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। প্রতিবার ৩০ দিন মেয়াদে এ ভিসা দেয়া হবে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জরুরি মানবিক প্রয়োজনে কারো চীনে যাওয়ার প্রয়োজন হলে, জরুরি কাজে বা ব্যবসার প্রয়োজনে চীনে যেতে কেউ আমন্ত্রণ পেলে, চীনের কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে গেলে বিমানবন্দরে আবেদন করে পোর্ট ভিসা বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। প্রতিবার ৩০ দিন মেয়াদে ভিসা দেয়া হবে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমন্ত্রণে গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও জননিরাপত্তামন্ত্রী ঝাও কেজি। পরদিন (২৬ অক্টোবর) দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, আন্তঃদেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও ভিসা সহজ করা। সাধারণ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশের নাগরিকদের চীন ভ্রমণে ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা দিতে বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অফিশিয়াল ও ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারীদের জন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। এছাড়া মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, মিয়ানমার, চিলি, লাওস, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, কুয়েত, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, তুরস্ক, ভারতের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে ফ্রি ভিসা ও অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে ৩৭টি দেশ। এর মধ্যে ১৬টি দেশে ফ্রি ভ্রমণের ভিসা পাচ্ছেন বাংলাদেশীরা। আর ২০টি দেশে পাচ্ছেন অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা। এছাড়া শ্রীলংকা দিচ্ছে ই-ভ্রমণ ভিসা।

যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ ফ্রি ভ্রমণ ভিসা পাচ্ছে: বাহামাস, বার্বাডোজ, ভুটান, ডোমিনিকা, ফিজি, গাম্বিয়া, গ্রানাডা, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, লেসোথো, মাইক্রোনেশিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডিন্স, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভানুয়াতু।

অন্যদিকে যেসব দেশ বাংলাদেশকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে: বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, কমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, নেপাল, নিকারাগুয়া, সামোয়া, সেইচেলেস, পূর্ব তিমুর, টোগো, টুভালু ও উগান্ডা।