দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে দাখিল করা মনোনয়ন পত্রই বাতিল হয়েছে।

ফেনী-১, বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে এই তিনটি আসনের একটি থেকেও নির্বাচন করতে পারবেন না তিনি।

সম্প্রতি বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না— রোববার আপিল বিভাগের চূড়ান্ত আদেশের আলোকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত, সাজা ভোগ বাতিল ও জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ফেনীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, “খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ক প্রতিবেদন এসেছে আমাদের হাতে। তার ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”

“পুলিশ আমাদের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দশ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং জিয়া চ্যারিটেবল মামলা হিসেবে পরিচিত মামলায় তিনি ৭ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত।”

“সেকারণে ১৯৭২ সালের গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ এর অনুচ্ছেদ ১৪ এর বিধান মোতাবেক খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে”, নিশ্চিত করেন মি. ওয়াহিদুজ্জামান।

খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।