বাঙালি জীবনযাত্রায় পানীয় হিসাবে চা অবিচ্ছেদ্য ভাবে মিশে আছে। এই উপমহাদেশে বৃটিশদের হাত ধরে ১৮০০ শতকে চায়ের আগমণ ঘটলেও ১৬০০ শতকে চীনে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে অনেক রকম চা প্রচলিত আছে এর মধ্যে গ্রীন টি বা সবুজ চা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন ও মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান৷ ধারণা করা হয় প্রায় ৪ হাজার বছর আগে মাথা ব্যথার ওষুধ হিসেবে চীনে গ্রীন টি এর ব্যবহার শুরু হয়। গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে গ্রিন টি বা সবুজ চা পানে মহিলাদের যকৃত, পাকস্থলী, স্তন, মলাশয় এবং কণ্ঠনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে এক কাপ চায়ের জুড়ি নেই। আর তা যদি হয় গ্রিন টি তাহলে প্রফুল্লতার পাশাপাশি নানাবিধ উপকার হবে আপনার শরীরের। তেঁতো স্বাদের কারণে অনেকেই পান করতে পছন্দ করেন না গ্রিন টি। তবে এর নানাবিধ গুণাবলির কারণে এর জনপ্রিয়তা এবং প্রচলন বাড়ছে আমাদের দেশে। গ্রিন টি জাপানে ‘এন্টি এজিং ড্রিংকস’ হিসেবে প্রতিদিন পান করেন জাপানিরা।

গ্রীন টি বা সবুজ চা-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট। এসব এন্টি অক্সিডেন্টে রয়েছে আমাদের শরীরে নানাবিধ প্রভাব।

যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরের হাড় সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়, স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডভেদে এক কাপ গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকে ১০০ মিলিগ্রাম। তাই প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত গ্রিন টি সেবনে ক্যাফেইনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। যেমন- ক্ষুধামন্দা ও কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।সূত্র -ইন্টারনেট