নোয়াখালীর নির্বাচনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নোয়াখালী-৪(সদর-সুবনর্চর) আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহা সচিব মেজর(অব:) আবদুল মান্নান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় এই মেরুকরণ সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগে এই আসন থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী ছিলনা । কেউ মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেনি। মেজর (অব:) মান্নানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। মেজর মান্নানের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার মান্নান নগরে। তিনি নির্বাচন করলে নোয়াখালী-৪ আসন থেকেই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডকে। সেই ক্ষেত্রে শরিক দল হিসেবে এই মূহুর্তে নোয়াখালী-৪ আসনে মেজর মান্নানকে মনোনয়ন দেয়া হলে একরাম চৌধুরী চলে যাবেন নোয়াখালী-৫(কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে। নোয়াখালী-৫ আসনটি আবার আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা। এ ক্ষেত্রে ওবায়দুল কাদেরকে ঢাকার যে কোন একটি আসনে দেয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন চলছে নোয়াখালীর রাজনৈতিক মহলে। তবে মেজর মান্নান যদি এই আসনে প্রার্থী হয় তাহলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহানের সাথে প্রতিদ্ধন্ধিতা করতে হবে । এই ভোট লড়াইয়ে মেজর (অবঃ) মান্নান টিকবেন কিনা তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আবার একরাম চৌধুরীকে নোয়াখাল-৪ আসন বাদ দিয়ে অন্য আসনে দিলে তিনি কতটুকু ঘুচিয়ে নিতে পারবেন তাও দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে কঠিন সমিকরণে পড়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ। এর অবসান দেখতে হলে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনম অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম বলেন, দলের পক্ষ থেকে যাকেই প্রার্থী দেয়া হবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশনাই এখানে চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।