নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে আর এডিনসন কাভানি—বিশ্ব ফুটবলে বর্তমানে আক্রমণের সেরা ত্রিফলা। লিগ ওয়ান মাত্র শুরু হয়েছে, এর মাঝেই তিনজন ২২ গোল করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড় আর কাভানির কাছে অবশ্য এমনটাই আশা করে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। কিন্তু পিএসজির সেরা খেলোয়াড় কে, এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু ত্রিফলার কেউ নন। নেইমার, এমবাপ্পের আবির্ভাবের পর পাদপ্রদীপের আলো থেকে হারিয়ে যাওয়া অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াই পরছেন এই মুকুট।

এটুকু পড়েই মনে হতে পয়ারে, কাল নাপোলির বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করার কারণেই হয়তো এত প্রশংসা বাণী ছুটছে টি মারিয়ার দিকে। নিজেদের মাঠে পিএসজি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল নাপোলির সামনে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল দলটি। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের ওপর থেকে ডি মারিয়ার দুর্দান্ত বাঁকানো শটেই ড্র মানতে বাধ্য হয় আনচেলত্তির দল। পুরো ম্যাচে যেখানে নেইমার, এমবাপ্পে, কাভানি কোনো গোল পাননি সেখানে দলকে বাঁচানোর দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছেন ডি মারিয়া।

নতুন কোচ টমাস টুখেলের অধীনে লিগে মাত্র তিন ম্যাচে পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন ডি মারিয়া। তাই লিগে গোল করায় আক্রমণের ত্রিফলার অনেক পিছিয়ে এই আর্জেন্টাইন (৩ গোল)। চ্যাম্পিয়নস লিগেও নেইমারের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। কিন্তু নাপোলি ম্যাচে যেটা দেখা গেছে, সে সত্যটা কিন্তু এতেও মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে না। দলের আক্রমণভাগে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন ডি মারিয়া। ২০১৮ সালে পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৬টি গোলে অবদান রেখেছেন ডি মারিয়া। ২৪ টি গোল করেছেন, করিয়েছেন ১২ গোল। এ সময়ে পিএসজির কোনো খেলোয়াড়েরই ৩০টির বেশি গোলে অবদান রাখতে পারেননি। চোটের কারণে নেইমার তিন মাসের বেশি বাইরে ছিলেন , কিন্তু এমবাপ্পে আর কাভানি পুরো মৌসুমেই ডি মারিয়ার চেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েও পিছিয়ে আছেন ডি মারিয়ার চেয়ে।

পিএসজির পক্ষে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে যে ছয় ম্যাচেই শুরু থেকে মাঠে ছিলেন ডি মারিয়া, প্রতি ম্যাচেই গোল করেছেন আর্জেন্টাইন এই প্লেমেকার। এ তথ্যটা লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের লেগের আগে টুখেল মনে রাখলেই ভালো করবেন!