শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া জাবালে নূরের গাড়িরাজধানী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের মামলায় ৬ জনের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার(২৫ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অপর বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আদালতে চারজন আসামি হাজির ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের অভিযোগ পরে শুনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, গত ২২ অক্টোবর এ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। এবং ২৫ অক্টোবর চার্জগঠনের দিন ধার্য করেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এ মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষি এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেল। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

ওই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহতে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।