ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়ে মঈনুল হোসেন ইংরেজদের খাওয়া শিখলেও তাদের ভদ্রতা শিখতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন যুক্তরাজ্যে বার-অ্যাট-ল পড়তে গিয়ে ইংরেজদের খাবার খাওয়াটা শিখলেও ইংরেজদের এটিকেট শিখতে পারেননি।

সোমবার বিকালে চার দিনের সৌদি আরব সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে টক শো’তে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। এ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মঈনুল হোসেন সম্পর্কে এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সুসম্পর্কের সুবাদে মঈনুল হোসেনের জীবনের অনেক তথ্যই জানেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি সেই আমলে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন ব্যারিস্টারি পড়তে। এইটা তো কম কথা না। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, উনাকে আমরা মানিক কাকা বলে ডাকতাম। তো কাকা তাকে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠালেন। তিনি ব্যারিস্টারি পাস করে সাহেব হয়ে ফিরলেন। তিনি আর বাংলাদেশি খাবার খেতে পারেন না, তার সাহেবি খাবার দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, মানিক কাকা মায়ের কাছে এসে আফসোস করেন। বলেন, ছেলে তো ইংরেজ খাবার ছাড়া কিছু খায় না। তো তার জন্য তখন আলাদা বাবুর্চি রাখতে হলো। সেই যুগে মানিক কাকা ছেলের জন্য ১০০ টাকা দিয়ে বাবুর্চি রাখলেন। ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়ে মঈনুল হোসেন ইংরেজ খাওয়াটা শিখলেন; কিন্তু তাদের ভদ্রতাটা শিখেননি, অ্যাটিকেট শিখেননি, কথা বলা শিখেননি। এসব কথা সবার জানার কথা না। আরও জানি, এখন বলব না, পরে বলব।

তিনি বলেন, তার অবস্থাটা কাকের ময়ূরপুচ্ছ পরে ময়ূর হওয়ার মতো। এটাই হলো বাস্তবতা, এই হলো সেই লোক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন নারী সাংবাদিককে তিনি যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তা অত্যন্ত জঘন্য, বাজে। তার বাচনিক ভঙ্গি, অ্যাটিচিউড সবই খারাপ। তার কাছে কী আশা করব? এসময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তো পাকিস্তানের দালালি করেছেন। ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রাজাকাররা। এর জন্যও তিনি কম দায়ী নন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোশতাক যে দল করেছিল সেই দলের সঙ্গে ব্যরিস্টার মঈনুলের সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি কিন্তু পরে একটা দলও করেছিলেন। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনি যারা, তাদের নিয়ে তিনি দল করেছিলেন। ইত্তেফাকেও তো মার্ডার করে ভাইকে (বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের যে জমি, সেটা নিয়েও ঝামেলা রয়েছে। তাদের জমি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে মামলা আছে। আপনারা সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে দেখেন। তার আসলে গুণের শেষ নেই।