জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 536 বার
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে বের হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেএসডির সহসভাপতি ও আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব এনটিভ এ তথ্যা নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৯টার পর ডিবি পুলিশের একটি দল আমাদের বাসায় আসে। তখন আমি পার্টি অফিসে ছিলাম। পুলিশ আমাদের বাসা ঘিরে রেখেছে শুনে বাসায় আসি। তখন গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা বলেন, তাঁরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে নিয়ে যেতে এসেছেন। পরে রাত ১০টার দিকে তাঁরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে নিয়ে যান।
তানিয়া রব বলেন, যত দূর শুনলাম রংপুরে দায়ের হওয়া একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাহাবুব আলম আরও জানান, তাকে রংপুরের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রংপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাকে ডিবি অফিসে আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
এ ঘটনায় গত রোববার ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগ এনে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরেকটি মামলা হয়। যদিও মামলা দু’টিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ব্যারিস্টার মইনুল। তবে সোমবারও তার বিরুদ্ধে রংপুরসহ চারজেলায় মামলা হয়।
এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গত শনিবার বিবৃতি দেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫৫ সম্পাদক ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক।
জামালপুরে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটার মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মান কবির।
এর আগে ১৮ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে নারী সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এছাড়া সোমবার ভোলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করে নারী সাংবাদিক ও নারী নেত্রিরা। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে আজ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
Leave a Reply