চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গোপন বৈঠককালে জঙ্গি সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, দু’টি পেইনড্রাইভ ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। শনিবার রাতে পৌরসভার উত্তর কেরোয়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক ৭ জন হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. কাউসার হামিদ (১৯), কুমিল্লার হোমনার মাহমুদুর রহমান (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানার মো. রাশেদুল ইসলাম (২৫), ময়মনসিংহের নান্দাইলের কামরুল হাসান (২৭), কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের নেয়ামত উল্লা (২৬), টাঙ্গাইলের নাগরপুরের মো. হাবিবুর রহমান (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মো. ফজলুল করিম (৩০)।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে পৌরসভার উত্তর কেরোয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. আবু রায়হানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের ‘জিহাদে’ নাম লেখানোর কথা স্বীকার করেন।তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ফরিদগঞ্জের কাউসার হামিদ শনিবার বিকেলে ওই জঙ্গিদের নিয়ে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। ওই সময় বাড়িটি খালি ছিল। সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে সংবাদ আসে, বাড়িটিতে জঙ্গিরা গোপন বৈঠক করছে। তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তবে তারা কোন উদ্দেশ্যে সেখানে জড়ো হয়েছিল তা জানা যায়নি। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

এই নিয়ে আজ দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রপ্তোর সাতজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। মূলত প্রশিক্ষিত দুজনের কাছ থেকে অন্য পাঁচজন জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিতে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে কেরোয়া গ্রামকে বেছে নিয়েছিল।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।