আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে তারা আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন,’রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যন্ত খেয়ে ফেলা হয়েছে। আজও পত্রিকার হেড লাইন রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২০ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে খেলাপি ঋণ। এর উল্লম্ফন গতির লাগাম কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো, সরকারি ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলো, অথচ দুদক এক্ষেত্রে উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে রেখেছে। মামলা করা তো দূরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয় না।
সংবাদ সন্মেলনে ‘খেলাপি ঋণের প্রকৃত টাকার অংক আরও অনেক বেশি’ বলে দাবী করে রিজভী বলেন, ‘এই টাকা সব ক্ষমতাসীনদের পকেটে ঢুকেছে। লুট করে শেয়ার বাজার শেষ করে দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ তারা সরকারি দলের লোকদের আত্মীয়স্বজন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদেরও আত্মীয়স্বজন। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে যাতে কোন আওয়াজ না ওঠে সেজন্য গণতন্ত্রকে আইসিইউ-তে পাঠিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং সোচ্চার বিরোধী দলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’