জেলা সংবাদ, বিনোদন | তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 440 বার
‘চোখ মেললেই জীবন, চোখ বন্ধ করলেই আর জীবন নেই, জীবনের রংটাই এমন’, কথাটি আমার নয়, আইয়ুব বাচ্চুর। জীবন সম্পর্কে নিজের উপলব্ধি বর্ণনা করতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে এই উক্তিই করেছিলো বন্ধুবর আইয়ুব বাচ্চু।
অনেক কষ্ট হলেও যার নামের আগে এখন লিখতে হবে প্রয়াত। সেই আশির দশকের শুরু থেকেই বাচ্চুর সঙ্গে সম্পর্ক। তখন বাচ্চু সঙ্গীত শিল্পী ছিল না। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল সোলসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। দুর্দান্ত গিটার বাজাত। গিটারে ওর হাতের সঞ্চালন দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। মনে মনে ভাবতাম বিদেশে এ ধরণের যন্ত্রশিল্পী থাকলে তার খ্যাতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তো। শুধু গিটারের ঝংকারই নয়, সঙ্গীত শিল্পী হিসাবেও বাচ্চু ছিল সফল এবং জনপ্রিয়।
বাচ্চু ছিল আমার অবসরের সঙ্গী। দেখা হতো কম, কথা হতো বেশি। ও ব্যস্ত থাকতো আমিও ব্যস্ত। আমরা থাকতাম পাশাপাশি বাড়িতে। আগে ছিল মগবাজার। হঠাৎ একদিন ফোন করে বললো, ‘আমি তোর পাশে এসেছি’। অবাক হলাম শুনে। তখন বললো এখন থেকে সে ধানমন্ডিতে আমার প্রতিবেশী। পরদিনই স্বপরিবারে বাসায় এলো। অনেক গল্প হলো। ওর প্রাণ খোলা হাসিটা কখনোই ভুলতে পারবো না।
আমাদের মধ্যে একটি আত্মিক যোগাযোগ ছিল। ওকে আমি কখনোই গম্ভীর থাকতে দেখিনি। মৃত্যুর একদিন আগেও রংপুরে অনুষ্ঠান করে এসেছে। কে জানতো পরদিনই বাচ্চু আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যাবে না ফেরার দেশে। আসলেই আইয়ুব বাচ্চু বেশ অসময়েই চলে গেলো। বাচ্চুর এই অকাল প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাচ্চুর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ টেলিভিশন উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
Leave a Reply