বিদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 544 বার
বিজয় নিশান উড়ছেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করেন তিনি।
পরের বছরই সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ডাকে জড়ান সিরিয়ার যুদ্ধে।
টানা চার বছরের সে অভিযানে আজ সফলতার পথে রাশিয়া। এবার টার্গেট লিবিয়া। লক্ষ্য সিরিয়া ও ইউক্রেনের মতো দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের প্রভাব খর্ব করা। এবার অস্ত্র শুধু মিসাইল নয়। আফ্রিকার অভিবাসী বোমাই পুতিনের নতুন অস্ত্র। আর টার্গেট ইউরোপ।
রয়টার্সের রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার দিকে নজর দিয়েছে রাশিয়া। প্রধান লক্ষ্য লিবিয়ার তেল সম্পদ ও ভূমধ্যসাগরে দেশটির সমুদ্রবন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে মস্কো।
গত বছরের মার্চ মাসে লিবিয়া সীমান্তবর্তী মিসরের সিদি বারানি বিমানঘাঁটিতে প্রথমবারের জন্য বিশেষ একটি বাহিনী মোতায়েন করে মস্কো। সে সময় মার্কিন ও মিসরীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় রয়টার্স। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয় কয়েকটি ড্রোনও।
এরপর বন্দরনগরী তোবরুক ও বেনগাজিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরও দুটি সামরিক ঘাঁটি। বসানো হয়েছে ক্যালিবার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
কিন্তু সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্রই পুতিনের প্রধান অস্ত্র নয়। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লিবিয়ায় উপস্থিতি জোরদার করছে রুশ তেল কোম্পানিগুলোও। দেশটির পুতিন সমর্থক ইগর সেচিন নিয়ন্ত্রিত বড় তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট রয়েছে এই তালিকায়। তেল উত্তোলন ও শোধনাগারগুলোর দায়িত্বে রয়েছে রুশ বাহিনী।
লিবীয় সেনাবাহিনীকে তারাই উন্নত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আর এত সব আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য আফ্রিকার অভিবাসী প্রবাহের নিয়ন্ত্রণ করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুতিনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ইউরোপকে বশে আনতে সময় বুঝে এই ‘অভিবাসী বোমার’ ব্যবহার।
এই মুহূর্তে ঘানা, সেনেগাল, কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসী ইউরোপে ঢোকার অপেক্ষায়। ভূমধ্যসাগরের পাড়ে লিবিয়ার উপকূলীয় নৌবন্দরগুলো দিয়েই সাগর পাড়ি দেয় তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর সবচেয়ে বড় ভয় অভিবাসীরা। পুতিন এটা ভালো করেই জানেন। তাই তাদেরকেই নতুন ‘বোমা’ করার চিন্তা। সেই লক্ষ্যেই বন্দরনগরী তোবরুক ও বেনগাজিতে সেনাঘাঁটি প্রতিষ্ঠা।
সবগুলো সমুদ্রবন্দর নিয়ন্ত্রণে এলেই ‘কেল্লাফতে’। সুযোগ মতো বোমার বোতামে চাপ দিলেই হবে। ইউরোপের যে সব দেশ পুতিনবিরোধী সেসব দেশের বিরুদ্ধে এটা এক ‘মোক্ষম অস্ত্র’।
Leave a Reply