জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ১৩, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 445 বার
বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্প ধারার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে জোট গঠনের প্রক্রিয়া এবং তা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের ঘোষণা আসে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কামাল হোসেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ছিলেন।
যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা সভাপতি বি চৌধুরী ছিলেন না এই সংবাদ সম্মেলনে। তার আগে কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে ফিরে গিয়ে আলাদা সংবাদ সম্মেলন ডাকার ঘোষণা দেন বি চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেরা একসঙ্গে কয়েকটি কর্মসূচি পালনের পর বিএনপিকেও সঙ্গে নিয়ে সরকারবিরোধী ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’র রূপরেখা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন কামাল হোসেন ও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
কিন্তু শনিবার সেই রূপরেখা চূড়ান্তের আগেই তাতে ফাটল ধরেছে; নির্ধারিত সেই বৈঠক না হওয়ার পর দুজনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় আলাদা সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।
‘জগাখিচুড়ি এই ঐক্য টিকবে না’- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের এই বক্তব্যই কার্যত ফলতে যাচ্ছে সরকারবিরোধী এই দলগুলোর ঐক্য প্রচেষ্টার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে।
সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ইসি পুনর্গঠনের ৫ দফা দাবিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর একযোগে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল বি চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।
তারপর তারা কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে, যাতে ৭ দফা দাবি তুলে আসা বিএনপির নেতারাও যোগ দেন। তবে এরপরই বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে আসার শর্ত দেয় বি চৌধুরীর দল বিকল্প ধারা।
জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির কোনো স্পষ্ট বক্তব্য না আসার মধ্যেই ঐক্য প্রক্রিয়ার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে শনিবার বিকালে কামাল হোসেনের বাড়িতে এক সঙ্গে বসার কথা ছিল যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও বিএনপি নেতাদের। বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক বি চৌধুরী বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় যান ছেলে বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরীকে নিয়ে।
কিন্তু বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে গাড়িতেই কিছুক্ষণ বসে থেকে ফিরে যান তারা।
মাহি সাংবাদিকদের বলেন, “বাসায় দাওয়াও দিয়ে গেইট খোলার কেউ নেই! একজন সাবেক রাষ্ট্রপতিকে এভাবে ডেকে এক রকম ব্যবহার কোনো শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
“আমরা মনে করি, এই ঐক্যটা না হওয়ার পেছনে কাদের ষড়যন্ত্র আছে, এটা আজ জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।”
এদিকে বি চৌধুরী যখন তার বাড়ির ফটকে, তখন মতিঝিলে নিজের পেশাগত চেম্বারে আরেক বৈঠকে ছিলেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
ওই বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন বি চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের শরিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও যুক্তফ্রন্টের সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান মান্না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন সেই বৈঠক।
ওই বৈঠক থেকে সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা আসে।
দুই পক্ষ আলাদা সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও বিভাজনের বিষয়ে কোনো পক্ষের স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি।
Leave a Reply