বিশ্বব্যাপী ‘#মি টু’ আন্দোলন চলছেই। যার ছোঁয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারতেও একের পর এক যৌন হয়রানির ঘটনা বেরিয়ে আসছে। মূলতঃ বলিউড সংশ্লিষ্টদের কুকীর্তি ফাঁস হচ্ছে একের পর এক। গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক বিমানসেবিকা। আর সেই অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে আরও এক প্রস্ত বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন অভিজিত।

২০ বছর আগে কলকাতার একটি পাবে ঘটনাটি ঘটেছিল বলে দাবি করেছেন ওই বিমানসেবিকা। তিনি দাবি করেছেন, ‘অভিজিৎ জোর করে আমায় চুমু খাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার বাঁ কানে বার বার খোঁচাচ্ছিল।’

ওই বিমানসেবিকার অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন গায়ক অভিজিৎ। এমনিতেই উটকো মন্তব্যের জন্য কুখ্যাতি আছে অভিজিতের। কখনও প্রতিবেশী নারীকে কুকথা তো আবার কখনও শাহরুখ খানকে খোঁচা। আর বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বেশ কয়েকবার তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে এবার যেন শালীনতার সমস্ত মাত্রাই ছাপিয়ে গেলেন এই গায়ক।

গায়কের কথায়, ‘বিষয়টা আমি ফোনে একজনের কাছ থেকে জানতে পারি। সে সময়ে তো আমার জন্মই হয়নি। আর আমার পুরো জীবনে এক দিনের জন্যও আমি পাবে যাইনি। আমি ফিল্মি পার্টিতে গিয়েছি- এমন কোনো ছবি মিডিয়ায় দেখতে পাবেন না। আমার নামটা আসলে বিক্রি হয়। আর তাতে যদি কারও লাভ হয়, তাহলে আমার সমস্যা নেই। মানে, আমার নাম ভাঙিয়ে কারও যদি খাবারের সংস্থানটা হয়ে যায়, তাহলে ঠিক আছে।’

বিমানসেবিকার এই অভিযোগককে গুরুত্ব দিতেই নারাজ অভিজিৎ। তার কথায়, ‘আমি সত্যিই জানি না কার বিরুদ্ধে আমার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর ওই নারীকে আমি গুরুত্ব দিতেই বা যাব কেন? যেসব মানুষএখন এই বিষয়টা নিয়ে সরব হচ্ছেন, আসলে তারা নোংরা এবং কুৎসিত। শুধুমাত্র মিডিয়ার নজরে থাকার জন্যই এই কথাগুলো বলছেন তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটা এবং কুৎসিত নারীরাই এমন অভিযোগ সচরাচর করে থাকেন। এসবের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’